মুনা সুলতানা, জবি প্রতিনিধি : জবির শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কক্ষের সামনে সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর এবং জকসু নীতিমালা চূড়ান্ত করে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীরা ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি পালন করছে জবি শিক্ষার্থীরা।
এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, আপ বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শিক্ষার্থীদের স্লোগান ছিলো “আটটা টু আটটা, কার বাজে ঘন্টা”, “ভিসি স্যার শুনছেন নাকি, আমরা বসে আছি এখানে”, “জকসু আমাদের অধিকার, আটকাতে পারবে কার”, “বৃত্তি আমাদের ন্যায্য দাবি, অস্বীকারের সাধ্য কার” ইত্যাদি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম এ বিষয়ে জানান, “জকসু নীতিমালা নিয়ে বুধবার সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং বৃহস্পতিবার সেটি চূড়ান্তভাবে পাঠানো হবে। আইন হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে জকসু নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।”
জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানেই অবস্থান চালিয়ে যাব।”
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, “ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরব।”
শাখা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, “সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর করার নির্দিষ্ট তারিখ আজই ঘোষণা করতে হবে। একই সঙ্গে জকসু নীতিমালাও আজ পাস করতে হবে, নইলে আন্দোলন চলবে।”
হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ বলেন, “আমরা চাই দ্রুত সম্পূরক বৃত্তি ও জকসু নীতিমালা বাস্তবায়ন হোক। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমেই আগামী দিনের জাতীয় নেতৃত্ব তৈরি হয়, কিন্তু এতদিনেও তা হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন কীভাবে পূরণ হবে যদি এ প্রক্রিয়া থেমে থাকে? সম্পূরক বৃত্তির জন্য আমরা অনেক শ্রম দিয়েছি, অথচ তা বাস্তবায়ন হয়নি। এর দায় কার?”