অনলাইন ডেস্ক : আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রতি ওয়ানডে ম্যাচে ভালো করার প্রত্যাশা নিয়ে নেমে খারাপ করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে টেনে টুনে দুইশ’রান করে হেরেছে ৫ উইকেটে। পরের ম্যাচে আফগানদের দুইশ’ রানের আগে আটকে অলআউট হয়েছে একশ’র পরই। শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ২৯৪ রান তাড়া করতে নেমে ৯৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ২০০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে।
আবুধাবির উইকেটে শুরুতে ব্যাটিং বান্ধব হওয়ায় টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ৯৯ রানের ওপেনিং জুটি পায় আফগানিস্তান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পায় ৭৪ রান। ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৪২ রান করে ফিরে যান। তিনে নামা সাদেকুল্লাহ আতাল ২৯ রান যোগ করে সাইফের বলে ফিরে যান। পরেই পার্ট টাইম স্পিনার সাইফ আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদীকে (২) আউট করেন।
সেঞ্চুরির পথে থাকা ইব্রাহিম জাদরান রান আউট হলে স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশ দলে। ওপেনার ইব্রাহিম ১১১ বলে ৯৫ রান করেন। সাতটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও ৯৫ রান করে আউট হয়েছিলেন জাদরান। এরপর পাঁচে নামা ইকরাম আলী খিল (২) আউট হলে ১৮৮ রানে ৫ উইকেট হয়ে যায় আফগানরা। বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছিল আড়াইশ’র পরই তাদের অলআউট করে দেওয়ার।
রশিদ খান দলের ২২১ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে আউট হলে অলআউট করার সুযোগ আসে। ২৪৯ রানে পরপর অষ্টম ও নবম উইকেট হারায় আফগানরা। সেখান থেকে ৪৯তম ওভারে ২৫ নেন নবী। দুই বল করে নাহিদ রানা মাঠ ছাড়লে পরের চার বল করে তিন ছক্কা খান মেহেদী মিরাজ। হাসান মাহমুদের শেষ ওভারে ১৯ রান নিয়ে ৩৭ বলে ৬২ রানের হার না মানা দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন নবী। চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকান।
জবাব দিতে নেমে ৩৫ রানের ওপনিং জুটি পায় বাংলাদেশ। নাঈম শেখ ১৬ বলে ৩ রান করে ফিরে যান। পরের ব্যাটাররা আশা যাওয়ার মিছিলে ছিলেন। নাজমুল শান্ত (৩), তাওহীদ হৃদয় (৭), মেহেদী মিরাজ (৬), শামীম পাটোয়ারি (০) কিংবা নুরুল হাসান (২) কেউ দুই অঙ্কের ঘরে রান নিতে পারেননি। এমনকি শেষ দিনের হাসান মাহমুদ কিংবা তানভীরও ১০ রানের ঘরে ঢুকতে পারেননি। কেবল ওপেনার সাইফ হাসান ৫৪ বলে তিন ছক্কা ও দুই চারে ৪৩ রান করেন।
বাংলাদেশের ইনিংস ধসিয়ে দিয়েছেন ২১ বছরের পেসার বেলাল সামি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমে ৭.১ ওভার বোলিং করে ৩৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। রশিদ খান ৬ ওভারে ১২ রান দেয় নেন ৩ উইকেট। বাংলাদেশ ২৭.১ ওভারে অলআউট হয়। এর আগে বাংলাদেশের সাইফ হাসান ৪ ওভারে ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।