অনলাইন ডেস্ক : অবশেষে বিশ্রামের ফুরসত মিলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। শ্রীলঙ্কায় তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ শেষ হওয়ার তিনদিনের মাথায় তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেমে পড়ে। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর আগামী এশিয়া কাপের আগে আর টাইগারদের কোনো সিরিজ নেই। আগস্টে ভারতের বিপক্ষে খেলার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে গেছে এক বছরের জন্য।
সব ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে হতে পারে এশিয়া কাপ। তার আগপর্যন্ত খেলার সূচি নেই লিটন-শান্তদের সামনে। তবে আরেকটি দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের চেষ্টায় রয়েছে বিসিবি। শেষ পর্যন্ত যদি সেটিও না হয়, তাহলে স্কিল এবং ফিটনেস ক্যাম্প করবেন দেশের ক্রিকেটাররা। তাসকিন আহমেদ এবং লিটন দাসরাও অবশ্য সিরিজ খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে লিটন জানিয়েছেন, ‘(পাকিস্তান সিরিজ শেষে) পরে একটা সিরিজ হলে অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো হয়।’ এ ছাড়া বিসিবি সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন তাসকিনও।
গতকাল শেষ টি-টোয়েন্টিতে মেহেদী হাসান মিরাজকে ৪ নম্বরে খেলানোর কারণ জানিয়ে লিটন বলেন, ‘প্রতিদিন যখন ১৮০-১৯০ রানের উইকেটে খেলবেন একদিন ব্যর্থ হলেও পরের ২ দিন সফল হতে পারবেন। আমার মনে হয় না কারও চিন্তা ছিল এই ম্যাচে ১৮০ রান হতে পারে। আর (৪ নম্বরে) খেলার জন্য মিরাজ আসলেই সামর্থ্যবান। সে বাংলাদেশ দলের হয়ে অনেকদিন খেলছে। অধিনায়ক হিসেবে আমি মনে করি জাকের (আলী অনিক) এবং শামীম (হোসেন পাটোয়ারী) যত পরে ব্যাটিংয়ে যাবে তত আমাদের জন্য ভালো। এই চিন্তা করেই (মিরাজকে আগে) ব্যাটিং করানো হয়েছে।’
পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে দুটি সিরিজের পর শ্রীলঙ্কা ও ঘরের মাঠে দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয়। এ নিয়ে ফরম্যাটটিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা পাকিস্তান বা ইউএইতে খেলেছি, যেখানে তাসকিন-মুস্তাফিজকে পাইনি। আমরা সবাই জানি মুস্তাফিজ কতটা সামর্থ্যবান। কতটা বিধ্বংসী হতে পারে। একইসঙ্গে আমরাও ভালো ক্রিকেট খেলিনি। পরের দুই সিরিজে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানে আমাদের ফুল সেটাপ নিয়ে খেলতে পেরেছি। ভালোও করতে পেরেছি। আমাদের এই বিশ্বাস থাকবে।’
‘গত কয়েকদিনে আমি ফিল করেছি ডেথ বোলিং আরও ভালো করতে হবে। অবশ্যই ব্যাটিং তো আছেই। টানা ভালো ব্যাটিং করে গেলে বোলারদের ম্যাচ জেতানোর সুযোগ থাকবে। ডেথে মুস্তাফিজ বাদে বাকিদের সামনে আরও সুযোগ আছে উন্নতি করার’, আরও যোগ করেন লিটন।