নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা বুধবার। সন্ধ্যা ৬:৪১। ২ জুলাই, ২০২৫।

করোনার নতুন ধরন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ

জুন ৯, ২০২৫ ৯:১৬
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সেসব দেশে ভ্রমণ না করার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। সংস্থাটির রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে, করোনার ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশের সব স্থল, নৌ এবং বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট, বিশেষ করে অমিক্রন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ থেকে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণকারী নাগরিকদের জন্য দেশের সকল স্থল, নৌ, বিমানবন্দরের আইএইচআর (International Health Regulations) ডেস্কে নজরদারি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবিলায় কিছু কার্যক্রম নিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  মহানবী (স.)-এর কার্টুন আঁকার অভিযোগ : তুরস্কে ৪ কার্টুনিস্ট আটক

গত বৃহস্পতিবার দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও পরিস্থিতি এখনো আশঙ্কাজনক নয়, তবে দেশে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আইসিডিডিআরবি’র গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন এক্সএফজি শনাক্তের কথা বলছেন। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। এই দুটোই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে ঐতিহাসিক সান্তাল হুল দিবস উদযাপন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধের কিছু নির্দেশনা নিচে দেওয়া হলো—

সাতবার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোবেন (অন্তত ২৩ সেকেন্ড)।
নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে।
অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না।
হাঁচি-কাশির সময় বাহু/টিস্যু/কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।

দেশে প্রবেশের পথের জন্য নির্দেশনা—

দেশের বিভিন্ন স্থল/নৌ/বিমানবন্দরসমূহে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্ক থাকা, স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং এবং নজরদারি জোরদার করুন।
দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রি (প্রবেশপথ) সমূহে থার্মাল স্ক্যানার/ডিজিটাল হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন-টাচ পদ্ধতিতে তাপমাত্রা নির্ণয় করুন।
চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক (পিপিই) মজুত রাখুন।
ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনাগুলো প্রচার করুন।
জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।

আরও পড়ুনঃ  মাইলফলক স্পর্শ করলেন শান্ত

সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়—

অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
প্রয়োজন হলে আইইডিসিআর-এর হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন (০১৪০১-১৯৬২৯৩)। –ইত্তেফাক

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।