নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা বৃহস্পতিবার। দুপুর ১২:১০। ১৫ মে, ২০২৫।

কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবি

মার্চ ৮, ২০২৪ ৩:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবি
বর্তমানে নারীর জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ঠিকই কিন্তু নারীর প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এখনো ততটা পরিবর্তিত হয়নি। যার কারণে কর্মস্থলে নারীর কাজের পরিবেশও তেমন অনুকূল হয়ে ওঠেনি। তাই আইএলও কনভেনশন ১৯০ ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা যথাযথ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন নামের ২টি সংগঠন।

শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক নারী শ্রমিক সমাবেশ ও র‍্যালিতে এ দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুনঃ  নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি শুরু

সমাবেশে বক্তারা বলেন, কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার বৈষম্যসহ যেকোনো ধরনের বৈষম্য-আইনত: নিষিদ্ধ। যদিও প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই নারীরা বহু ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এখনো আমাদের পরিবারগুলোতে নারীকেই পারিবারিক দায়দায়িত্বের পুরোটাই পালন করতে হয়। পারিবারিক দায়িত্বের বিশাল বোঝা, সামাজিক বাধা উপেক্ষা করে নারী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে।

সভাপতির বক্তব্যে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতানা বেগম বলেন, বাংলাদেশে পোশাক রপ্তানি খাতে অধিকাংশই নারী এবং সবাই দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। এই শিল্প প্রসারের ফলে নারীর অংশগ্রহণ আশাতীতভাবে বৃদ্ধি পায়। এ শিল্পে বর্তমানে কাজ করে প্রায় ৭০ ভাগ নারী শ্রমিক। কিন্তু এই খাতে শ্রমিকদের সর্বাধিক অবদান থাকলেও তারা তাদের ন্যূনতম আইনগত অধিকারসহ মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সামাজিক অনাচার অবক্ষয় থেকে নারীকে রক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন করা হলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকার কারণে এমনকি আইনের ভুল ব্যাখ্যার কারণে আইনের আশ্রয়লাভ নারীর পক্ষে সম্ভব হয় না। ফলে নারীকে পদে পদে নিগৃহীত হতে হয়, লাঞ্ছিত হতে হয়। নারীর এই বঞ্চনা- লাঞ্ছনা শতগুণ বৃদ্ধি পায় একজন কর্মজীবী- শ্রমজীবী নারীর ক্ষেত্রে।

আরও পড়ুনঃ  আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে : শফিকুল আলম

সুলতানা বেগম বলেন, পারিবারিক ও সামাজিক নানাবিধ সমস্যার পাশাপাশি তাকে কর্মক্ষেত্রের নানা ধরনের সমস্যা ও বৈষম্যের শিকার হতে হয়। বেতন বৈষম্য, স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশের অভাব, অতিরিক্ত কাজ, রাত্রিকালীন কাজ, সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্যান্য ছুটি না পাওয়া, ট্রেড ইউনিয়ন করতে না দেওয়া, এমনকি কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির মতো জঘন্য ঘটনাও ঘটছে। আমরা আইএলও কনভেনশন ১৯০ ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা যথাযথ বাস্তবায়ন চাই।

আরও পড়ুনঃ  এনবিআর ও আইআরডি ভেঙ্গে দুটি বিভাগ, অধ্যাদেশ জারি

সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি জাতীয় প্রেস ক্লাব, হাইকোর্ট মোড়, তোপখানা রোড এবং পল্টন মোড় প্রদক্ষিণ করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।