অনলাইন ডেস্ক : সরকারি কাজে বাধা ও বেআইনি সমাবেশের অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় দণ্ডিত আসামি জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় ২০২৩ সালে তাকে আড়াই বছরের সাজা দেওয়া হয়।
গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সাইফুজ্জামানের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আইনজীবী সাদেকুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, শহিদুল ইসলাম বাবুল আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেছিলেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। উচ্চ আদালতে তার জামিন আবেদন করা হবে। ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর শহিদুল ইসলাম বাবুলকে এক ধারায় আড়াই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেক ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কক্সবাজার সফর শেষে গুলশানে যাবেন। এ সময় দলের নেতা-কর্মীরা পল্টন এলাকায় সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। ভিআইপি রোড বন্ধ করে ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল ওইদিনই মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আতাউর রহমান। মামলার সব কার্যক্রম শেষে ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর রায় দেন আদালত।
বিএনপি বলয়ের ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত শহিদুল ইসলাম বাবুল। নিজ এলাকা ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে তাকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মনে করা হচ্ছিল। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অবশ্য দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তিনি এ আসন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) শামা ওবায়েদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। দলের নির্দেশেই তিনি নিজে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা সদরপুর চরভদ্রাসন) আসনে ভোট করার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এদিকে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় ভাঙ্গায় তাৎক্ষণিক ঝটিকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর প্রতিবাদে বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম বলেন, ‘শহীদুল ইসলাম বাবুলের নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেয়া হবে। তবে আপাতত আমরা কোনো জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করব না।’