নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা শনিবার। বিকাল ৪:৫৪। ৩১ মে, ২০২৫।

কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মে ২৬, ২০২৫ ৩:২৪
Link Copied!

পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলমানদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব, যেখানে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করা হয়। এই ইবাদতের মাধ্যমে যেমন ত্যাগের মহান আদর্শ প্রতিফলিত হয়, তেমনি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় একটি বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ—কোরবানির বর্জ্য। প্রতি বছর ঈদের সময় দেশে লক্ষাধিক গবাদিপশু কোরবানি হয়, যার ফলে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এসব বর্জ্য যদি সঠিকভাবে ও সময়মতো অপসারণ না করা হয়, তবে তা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি, পরিবেশ দূষণ ও জনদুর্ভোগের কারণ হতে পারে। তাই কোরবানির পশু জবাইয়ের ধর্মীয় বিধান পালনের পাশাপাশি এর পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। জনসচেতনতা, পরিকল্পিত উদ্যোগ এবং সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টাই পারে একটি পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ নগর পরিবেশ নিশ্চিত করতে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী কোরবানির জন্য এবছর দেশে কোরবানীযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭ টি। এ বছরে কোরবানিযোগ্য হৃষ্টপুষ্টকৃত গবাদিপশুর মধ্যে ৫৬ লক্ষ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষ, ৬৮ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়া এবং ৫ হাজার ৫১২টি অন্যান্য প্রজাতিসহ মোট ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদিপশুর প্রাপ্যতা আশা করা যাচ্ছে। এ বছর প্রায় ২০ লক্ষ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদিপশুর উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার বাসে বা পরিবহনের লকআপে ছাগল ও ভেড়া যেন পরিবহণ না করে, সে বিষয়ে সচেতনতাসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ পরিহার করতে হবে এবং যথাযথ পরিবহণের মাধ্যমে পরিবহণ নিশ্চিত করতে হবে। তা ব্যত্যয় হলে প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী  শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ছিনতাইরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে পশু পরিবহণ নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (বিজিবি এবং বাংলাদেশ পুলিশ), জেলা প্রশাসন, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের যৌথ সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (হট লাইন-১৬৩৫৮) চালু থাকবে। যেকোনো সমস্যা সমাধানে ফোন করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরকার সারাদেশে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রেখেছেন। গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্টকরণ ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লালন-পালন বিষয়ে ৮৩ হাজার ৬৫৬ জন খামারিকে প্রশিক্ষণ, ৬ হাজার ৬০০টি উঠান বৈঠক, ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩৭৮টি লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করা হয়েছে।স্টেরয়েড ও হরমোন ব্যবহার রোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খামারিদের প্রশিক্ষণ চলমান আছে এবং জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের যৌথ সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। ইতিমধ্যে ৫৩ হাজার ২৬৩টি খামার পরিদর্শন করে খামারিদের স্টেরয়েড-হরমোনের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।   কোরবানির পরপরই পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করবে। পাশাপাশি, কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে সঠিকভাবে লবণ ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সকল মসজিদের ইমামদের নামাজের খুতবার আগে মুসল্লীদের এই বিষয়ে সচেতন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের মাদ্রাসাগুলোর প্রধানদের জাতীয় সম্পদ হিসেবে পশুর চামড়া সংরক্ষণের ওপর প্রয়োজনীয় বার্তা পৌঁছে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পশুর চামড়া ও মাংসের গুণগত মান অক্ষুণ্ন রেখে ধর্মীয় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশু জবাই এবং মাংস প্রস্তুতের বিষয়ে ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীদের প্রশিক্ষণ দিবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)  পশুর চামড়া বিশেষ করে গরুর চামড়া একটি অন্যতম রফতানিযোগ্য জাতীয় সম্পদ। বছরে যে পরিমাণ পশু চামড়া সংগৃহীত হয় তার বেশিরভাগই আসে পবিত্র ঈদুল আজহাতে কোরবানিকৃত পশু থেকে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীদের কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানোর সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকায় এই জাতীয় সম্পদের গুণগত মান বজায় থাকে না এবং রফতানিযোগ্যতা হারায়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছর ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই প্রশাসকের নির্দেশে ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।
কোরবানির পশুর বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রেখে এলাকা ভিত্তিক কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে এলাকাবাসীকে পশু কোরবানি দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে, যাতে সহজে অল্প সময়ের মধ্যেই পশুর বর্জ্য সঠিকভাবে অপসারণ করা যায়। ডিএনসিসির প্রশাসকের  নির্দেশে এ বছর ডিএনসিসির আওতাধীন প্রতিটি পশুর হাটে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম থাকবে এবং তারা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।
ঈদ-উল-আজহায় বড়ো চ্যালেঞ্জ পশুর হাট ও পশু জবাই-পরবর্তী বর্জ্য পরিষ্কার। একটা সময় বর্জ্য নিয়ে নাগরিকরা ভোগান্তিতে পড়লেও গত কয়েক বছর ধরে সুষ্ঠু ও পরিকল্পিত উপায়ে সারা দেশে পরিষ্কার করা হচ্ছে কোরবানির বর্জ্য। প্রতিবছর এ কাজ নিয়ে বড় ধরনের পরিকল্পনা থাকে দেশের সকল সিটি করপোরেশনের। ইসলাম পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার ধর্ম। এখানে অপবিত্রতা ও অপরিচ্ছন্নতার কোনো স্থান নেই। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান এবং সকল ধর্মেই পরিচ্ছন্নতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যারা পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করেন আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন।
কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে কোরবানি দাতাকে বেশকিছু নিয়ম মানতে হবে যেমন- শহর অঞ্চলে প্রাথমিক পর্যায়ে বর্জ্য পলিথিনে জমা করে রাখতে হবে, রক্ত পানি দিয়ে ধুয়ে কোরবানির স্থলে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দিতে হবে। গ্রামাঞ্চলে অবশ্য কোরবানির বর্জ্য মাটিতে পুঁতে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই রাস্তার পাশে বা খালি জায়গায় তা ফেলে না রেখে মাটিতে পুঁতে রাখা কর্তব্য। মানুষের চলাচলের রাস্তায় কোরবানির পশু জবাই করা উচিত নয়; নির্দিষ্ট নিরাপদ স্থানেই জবাই করা কর্তব্য। কোরবানির পশুর উচ্ছিষ্ট বর্জ্য বাতাসে মিশে বাতাসকে দূষিত করে এবং রোগ-ব্যাধির বিস্তার ঘটায়। এজন্য কোরবানির পর কোরবানিদাতার প্রথম কাজ হচ্ছে বর্জ্য অপসারণ করা। এটা তার ইমানি দায়িত্ব। কোরবানি দেওয়া যেমন সাওয়াবের কাজ, তেমনি কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করাও একটি পুণ্যের কাজ। কোরবানির পশু জবাইয়ের পর যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা। আমরা অনেকেই নিয়ম না মেনে যত্রতত্র  পশু কোরবানি করে থাকি। এটি ঠিক নয়। পশু জবাইয়ের পর বর্জ্য যদি খোলা জায়গায় পড়ে থাকে তবে তা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর কারণ হতে পারে। পশুর রক্ত, ঘাস, লতাপাতা, নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট, বর্জ্য রাস্তায় পড়ে থাকলে তা বাতাসের সাথে জড়িয়ে পড়ে। আর এই বর্জ্য আমাদের জন্য মারাত্বক স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে। তাই কোরবানি করার পরবর্তী সময়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কোরবানির পরে অবশ্যই করণীয় বিষয়গুলো হলো: বর্জ্য অপসারণ কোরবানির ক্ষেত্রে পশু জবেহ শেষে তার রক্ত ও শরীরের যাবতীয় উচ্ছিষ্ট যথাযথভাবে অপসারণ করা জরুরি। পশু জবাইয়ের গর্তটি মাটি দিয়ে ঢেকে কিছু চুন বা ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক পদার্থ দেয়া যেতে পারে। আর আশেপাশে যদি কোনো বর্জ্য থাকে তাহলে তা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া রক্তপানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। পশুর দেহ থেকে নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট (অর্ধহজমযুক্ত খাদ্য/গোঘাষি) বের করে যত্রতত্র ফেলে দিলে তা পচে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াবে এবং পরিবেশ দূষিত হয়ে বিভিন্ন রোগ ছড়াবে। তাই যথাযথ স্থানে ফেলতে হবে।  যে স্থানটিতে পশু জবায় করা হবে ওই স্থানটি সম্ভব হলে গরম পানি অথবা ঠান্ডা পানি ঢেলে পরিষ্কার করার পর অবশ্যই ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিতে হবে। তাহলে দুর্গন্ধ ছড়াবে না এবং জীবণুমুক্ত হবে। বর্জ্য পরিষ্কারের পরে  হাত, পা ও সারা শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার করতে সেভলন ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদেরই উদ্যোগী হতে হবে।এককভাবে কোরবানি না করে, মহল্লা ভিত্তিক একটি নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করা যেতে পারে। এতে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সম্মিলিতভাবে বর্জ্য অপসারণও সহজ হয়। কোরবানির পর একই ভবনের বেশ কয়েকটি পরিবার মিলে একটি সোসাইটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। যেমন, সবাই মিলে বর্জ্য অপসারণের জন্য লোক ঠিক করা যেতে পারে যারা কোরবানির পর পরই বর্জ্য সরিয়ে নিয়ে যাবে। এতে বর্জ্য অপসারণ দ্রুততর হয় বলে পরিবেশের ওপর তেমন প্রভাব পড়েনা। জবাইকৃত পশুর গোবর ও উচ্ছিষ্ট আলাদা করে খোলাভাবে না ফেলে সেগুলো ব্যাগে ভরে নির্ধারিত স্থান যেমন নিকটস্থ ডাস্টবিন বা কন্টেইনারে ফেলতে হবে। সেখান থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ বর্জ্য সহজেই সরিয়ে নিতে পারে। তাছাড়া পশু জবাই ও মাংস বানানোর কাজ শেষ হলে বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য নিজ নিজ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করলে তারাও সহযোগিতা করবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও তথ্য অধিদফতর এ প্রচার কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। গণযোগাযোগ অধিদফতর হাট-বাজার ও উন্মুক্ত এলাকায় জনসচেতনতামূলক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করছে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে খুদেবার্তা প্রেরণ করে জনগণকে এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হবে। ঈদের আগের জুমা ও ঈদের নামাজের খুতবায় এ বিষয়টি উল্লেখ করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ইমামদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ঈদের দিন বিকাল ২টা থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে বাড়ানো হয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংখ্যা, নির্ধারিত হয়েছে কোরবানির স্থান, এবং চালু করা হয়েছে হটলাইন, অ্যাপ ও প্রচারাভিযান। এছাড়াও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও দ্রুতগতির পরিবহন ব্যবস্থা। এ উদ্যোগ নগরবাসীকে যেমন স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে, তেমনি ঈদের আনন্দকে করবে আরও নির্মল ও পরিচ্ছন্ন।
অনেক নাগরিকই কোরবানির পরে বর্জ্যটা যেকো নো স্থানে রেখে চলে যায়। এতে একদিকে যেমন নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হয়, তেমনি নগর কর্তৃপক্ষ এটা পরিষ্কার করতে সময় নেয়। ফলে সেখান থেকে দুর্গন্ধ এবং রোগজীবাণু ছড়ায়। তাই এককভাবে, যৌথভাবে বা সমন্বিতভাবে নাগরিকরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অংশ নিলে পুরো নগরীর বর্জ্য সহজেই পরিষ্কার করা সম্ভব। সামর্থ্যবানদের জন্য  কোরবানি করা আল্লাহর বিধান, কিন্তু এই বিধান পালন করতে গিয়ে যেন পরিবেশ দুষিত না হয় সে দিকে কোরবানি দাতাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
সেলিনা আক্তার
(পিআইডি ফিচার)

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।