নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ রবিবার। ভোর ৫:১৫। ১৯ অক্টোবর, ২০২৫।

কোহলি-রোহিতের বিশ্বকাপে খেলার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না প্রধান নির্বাচক

অক্টোবর ১৭, ২০২৫ ৯:৪০
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : গত দেড় দশকে ভারতের ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করেছেন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। এরই মধ্যে অনেকটাই নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। ২০২৪ সালেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে ভারতের হয়ে ২০ ওভারের ক্রিকেট ছেড়ে দেন দুজনে। টেস্ট ক্রিকেটকেও বিদায় বলে দিয়েছেন। খেলছেন কেবল ওয়ানডেতে।

আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সুযোগ পেলেও দু’বছর পর অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপে রোহিত ও কোহলির খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তারা যে সুযোগ পাবেন সে নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ভারতের প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার। ফিটনেস নিয়ে মোহাম্মদ শামির তোলা অভিযোগেরও জবাব দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। পাশাপাশি এটাও বলে দিয়েছেন, সবাইকে তুষ্ট করার ক্ষমতা নেই তার।

শনিবার ‘এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিট’-এ রোহিত এবং কোহলিকে নিয়ে আগারকার বলছেন, “এখন ওরা অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকা দলের সদস্য। দু’জনেই অসাধারণ ক্রিকেটার। এই মঞ্চে আলাদা করে কোনো ক্রিকেটারকে নিয়ে কথা বলতে চাই না। আজ থেকে দু’বছর পর পরিস্থিতি কেমন থাকবে তা বলা কঠিন। কে জানে, হয়তো কোনো তরুণ ক্রিকেটার ওদের জায়গা নিয়ে নেবে। দু’জনেই ভালো ক্রিকেটার। তাই প্রত্যেক ম্যাচে ওদের পরীক্ষায় বসানো উচিত নয়। একবার খেলতে শুরু করলে আমরা সব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখব। শুধু রান নয়, ট্রফি জেতাটাও দরকার। এমন নয় যে অস্ট্রেলিয়ায় তিনটি শতরান করল মানেই ২০২৭ বিশ্বকাপে ওদের জায়গা পাকা হয়ে গেল। পরিস্থিতি বিচার করে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

আরও পড়ুনঃ  এবার একশ’ হলো না বাংলাদেশের, হারল বিশাল রানে

এদিকে, ভারতের তারকা পেসার শামি কদিন আগে নির্বাচকদের নিয়ে তোপ দেগেছিলেন। তিনি বলছিলেন, ‘ভারতীয় দল বা নির্বাচকরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। আমার ফিটনেসের কথা জানতে চাননি। আমি তো আর যেচে ফিটনেস নিয়ে ওদের বলতে যাব না। এটা আমার কাজ নয়। ওদের জানতে হবে। যদি আমি চার দিনের রঞ্জির ম্যাচ খেলতে পারি, তাহলে ৫০ ওভারের ম্যাচ কেন খেলতে পারব না? যদি আমি ফিট না থাকতাম, তাহলে এনসিএ-তে থাকতাম, রঞ্জির দলে থাকতাম না।’

আরও পড়ুনঃ  ‘সব দোষ রিপন মিয়ার’

আরও যোগ করেন, ‘কাউকে জবাব দেওয়ার নেই। এত বছর ভারতের হয়ে খেলেছি। প্রতিটা ম্যাচে নিজের ১০০ শতাংশ দিয়েছি। আশা করেছিলাম, আমার সঙ্গে নির্বাচকেরা কথা বলবেন। কিন্তু কেউ কিছু জানতে চাননি। আমার ফিটনেস না জেনেই আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’

সেই প্রসঙ্গে আগারকার বলেন, ‘যদি ও আমাকে প্রশ্নটা করত তাহলে উত্তর দিতে পারতাম। এখানে আমার সামনে থাকলেও উত্তর দিতাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় ও কী বলেছে তা ঠিক জানি না। জানতে পারলে হয়তো ওকে একটা ফোন করব। আমার ফোন সব সময় ক্রিকেটারদের জন্য খোলা থাকে। গত কয়েক মাসে অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাই এখানে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করে শিরোনাম দিতে চাই না। এটুকু বলব, ভারতের হয়ে শামি খুব ভালো খেলেছে। যদি কিছু বলে থাকে, সেটা আমাকে বলা উচিত ছিল। ইংল্যান্ড সিরিজের আগেও বলেছি, ও ফিট থাকলে নিশ্চয়ই বিমানের আসনে বসত। দুর্ভাগ্যবশত ফিট ছিল না। ঘরোয়া ক্রিকেটের মৌসুম সবে শুরু হয়েছে। আমি যতদূর জানি, ও পুরোপুরি ফিট ছিল না বলেই নেওয়া হয়নি।’

আরও পড়ুনঃ  রাকসু নির্বাচনে ৬৯.৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে

ক্রিকেট ছাড়ার পর ধারাভাষ্যকার হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন আগারকার। আইপিএলের দলের হয়েও কাজ করেছেন। নির্বাচক হিসেবে তার কাজ সবচেয়ে কঠিন বলে মনে করেন তিনি। তাই জন্যই জানিয়েছেন, সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন না।

আগারকারের কথায়, “নির্বাচক হিসেবে আমার কাজ ১৫ জনের দল বেছে নেওয়া। আর কিছু নেই আপনার হাতে। এই মুহূর্তে যে মানের ক্রিকেটার রয়েছে আমাদের দেশে, তাতে ১৫ জন বেছে নেওয়া খুবই কঠিন। অনেক জিনিস আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। খুব কঠিন, পরিশ্রমসাপেক্ষ এবং চাপের কাজ। নির্বাচক হওয়া বড় দায়িত্ব। ক্রিকেটার হিসাবে আর এক জনের কেরিয়ার তৈরি করে দেওয়া সহজ। নির্বাচক হিসাবে একটা সিদ্ধান্তে অনেকের কেরিয়ার বদলে যেতে পারে, সেটা ভালো হোক বা খারাপ। সবাইকে তুষ্ট করতে পারব না। নিজের সেরা কাজ করাটাই আমার দায়িত্ব।”

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।