নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ মঙ্গলবার। সকাল ৬:৫৫। ১৪ অক্টোবর, ২০২৫।

ক্ষুধা অভাবের কারণে হয় না, এটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা : ড. ইউনূস

অক্টোবর ১৩, ২০২৫ ৯:৩৪
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষুধা অভাবের কারণে তৈরি হয় না, এটি আমাদের পরিকল্পিত অর্থনৈতিক কাঠামোর ব্যর্থতার কারণে হয়।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০২৪ সালে ৬৭৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল। অথচ আমরা পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করি। এটি উৎপাদনের ব্যর্থতা নয়, এটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা। এটি নৈতিক ব্যর্থতা। আমরা যেখানে ক্ষুধা দূরীকরণে কয়েক বিলিয়ন ডলার তুলতে পারিনি, সেখানে বিশ্ব অস্ত্রে ব্যয় করছে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। এটা কি অগ্রগতির সংজ্ঞা হতে পারে?

আরও পড়ুনঃ  অধিকার সচেতন নাগরিকই ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের মূল শক্তি

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত বছর বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করেছে। গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তার জন্য এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল আমাদের তরুণ প্রজন্ম। সাহসী ও আশাবাদী তরুণ-তরুণীরা। তাদের দাবি ছিল সহজ- জনগণকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া; ন্যায়বিচার, অন্তর্ভুক্তি এবং বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে একটি সমাজ তৈরি করা।

তিনি বলেন, আজ সেই তরুণরাই আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়ছে। যেখানে শাসনের কেন্দ্রে রয়েছে জনগণ।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশকে হারিয়েও খুশি নন আফগান অধিনায়ক

তিনি আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমরা জাতীয় নির্বাচন করব। এর মাধ্যমে আমরা ন্যায়বিচার ও জনগণের ক্ষমতায়নের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছি।

ব্যবস্থা বদলানোর জন্য ৬টি পদক্ষেপ প্রস্তাব করেন ড. ইউনূস। সেগুলো হলো-

১. ক্ষুধা-সংঘাত চক্র ভাঙতে হবে- যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, সংলাপ শুরু করতে হবে, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।

২. অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে- এসডিজি অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি রাখতে হবে, জলবায়ু পদক্ষেপকে গুরুত্ব দিতে হবে, দুর্বল জনগোষ্ঠীর স্থিতিশীলতা গড়তে সহায়তা করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  অবৈধ ভাটা বন্ধ না হলে উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে চেয়ারে রাখব না: হুঁশিয়ারি এনসিপি নেতার

৩. আঞ্চলিক খাদ্য ব্যাংক তৈরি করতে হবে- যাতে ধাক্কা মোকাবিলা ও সরবরাহ চেইন স্থিতিশীল করা যায়।

৪. স্থানীয় উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও তাদের সহায়তা করতে হবে- বিশেষত তরুণ উদ্যোক্তা, কৃষক, নারী ও খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ কর্মীদের জন্য অর্থ, অবকাঠামো ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব দিতে হবে।

৫. রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করতে হবে- বাণিজ্যনীতি যেন খাদ্যনিরাপত্তাকে সহায়তা করে, ক্ষতি না করে।

৬. প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে- বিশেষত গ্লোবাল সাউথ ও গ্রামীণ তরুণ-তরুণীদের জন্য।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।