অনলাইন ডেস্ক : কেউ তাঁর শ্লীলতাহানি করেননি। স্বজনপোষণের শিকারও নন তিনি। তবু বলিউডে টিকতে পারেননি অভিনেত্রী গীতা বসরা! প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিংকে বিয়ে করাই কি কাল হয়েছিল অভিনেত্রীর জীবনে?
সম্প্রতি তার অতীত নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গীতা। যেখানে তিনি বলেছেন, “বলিউডে গডফাদার না থাকলে টিকে থাকা মুশকিল। তার ওপরে হরভজনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সকলে ধরেই নিল, বিয়ে করতে চলেছি। ফলে, বলিউড আমায় ছুড়ে ফেলে দিল।”
গীতার আফসোস, ‘গডফাদার’ না থাকায় কেউ তার হয়ে প্রযোজক-পরিচালকদের বোঝাতেও পারেননি, যে বিয়ের পরে নায়কের মতো নায়িকাও অনায়াসে অভিনয় করতে পারেন।
গীতার বলিউডে অভিনয় শুরু ২০০৬ সালে। ‘দিল দিয়া হ্যায়’, ‘দ্য ট্রেন’-এর মতো ছবিতে তাকে দেখা গিয়েছিল। অভিনেত্রীর দাবি, “সেই সময়েও বিবাহিত নায়িকা নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি ছিল। শুধুই প্রযোজক বা পরিচালকের নয়, নায়কেরাও বিবাহিত নায়িকার সঙ্গে অভিনয় করতে চাইতেন না। ফলে, হরভজনের সঙ্গে প্রেমের কথা ছড়িয়ে পড়তেই সকলে ধরে নিলেন, আমার ক্যারিয়ার শেষ। আমাকে দিয়ে আর কিচ্ছু হওয়ার নয়। ব্যস, সঙ্গে সঙ্গে তারা আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তখনও কিন্তু বিয়ে করিনি আমরা। তার আগেই এই কাণ্ড!”
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বলিউডের মানসিকতা অনেক এগিয়েছে। এখন বিয়ে কেন, একাধিক সন্তানের মা হওয়ার পরেও এখন নায়িকারা অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের অভিনয় শেষ কথা বলছে। এটা গীতার কাছে আশাপ্রদ।
সাক্ষাৎকারে যোগ দিয়েছিলেন হরভজনও। তিনি কখনও গীতাকে অভিনয়ে ফেরার কথা বলেননি? প্রশ্ন করা হয়েছিল তাকে। প্রাক্তন ক্রিকেটারের দাবি, তিনি গীতাকে অভিনয়ে ফেরার জন্য যথেষ্ট উৎসাহিত করেছেন। যার জোরে বলিউডে না হলেও পাঞ্জাবি ছবিতে অভিনয় করেন গীতা। ২০১৬ সালে তাকে দেখা গিয়েছে ‘লক’ সিনেমায়।