হেলাল উদ্দিন, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারায় গরীব ও দুঃস্থদের জন্য পচা ও নিম্নমানের চাল মজুত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে তদন্তে সত্যতা পাওয়ার পর গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে এবার নিম্নমানের চাল গোপনে বাজার থেকে কিনে ঢোকানো হয়েছে। তবে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তার দাবি কিছু খারাপ চাল রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেতৃত্বে একদল কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্য গুদামে আসেন। এই দলে ছিলেন কমিশনার ভূমি মেহেদী হাসান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নবী নওয়াজেস আমিন। তারা উপজেলা তোর গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে গুদামগুলোতে অভিযান চালান। তিনটি গুদামেই অভিযান চালানো হয়। এ সময় বস্তায় থাকা চালের বস্তা ছিদ্র করে দেখেন। সেখানে দুর্গন্ধ পচা ও নিম্নমানের চাল দেখতে পান। এভাবে কয়েকশ বস্তাথেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিম্নমানের চাল পান। এ সময় তাঁরা চাল সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তার কাছে নিম্নমানের ও পচাচাল বিষয় জানতে চান। তবে তিনি কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরে গুদাম তিনটি থেকে চার বস্তা চাল নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করেন এবং গুদাম তিনটি সিলগালা করে দেন। জানা যায়, বড় মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ২৭২৩ মেট্রিক টন চাল কেনা হয়। পরিমাণ চাল থেকে প্রায় ১৮০০ মেট্রিক টন চাল করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ধানগুলো থেকে চাতাল মালিকদের মাধ্যমে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চাল করে গুদামে মজুদ করার বিধান রয়েছে। তবে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা কেনা ভালো ধান বাজারে বিক্রি করে বাজার থেকে নিম্নমানের চাল কিনে গুদামে রেখেছেন। এছাড়াও এ বছর মিলারদের কাছ থেকেও নিম্নমানের যার সংগ্রহ করা হয়েছে।
সম্প্রতি চালগুলো দোস্ত নারী,খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের দেওয়া হয়। সেখানে চালগুলো পচা,দুর্গন্ধ ও নিম্নমানের বলে দেখা যায়। গুদামে থাকা চালগুলোও দোস্ত নারী সহ সুবিধাভোগীদের জন্য মজুদ করা হয়েছিল।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সুবিধাভোগী দুস্থ নারীদের এসব পচা দুর্গন্ধ ও নিম্নমানের চাল দেওয়া হচ্ছিল। খাদ্য গুদামে এসে এর সত্যতা পেয়েছেন। উপজেলা খাদ্য ও নিয়ন্ত্রক নবী নওয়াজেস আমিন বলেন , এসব সংগ্রহ করার দায়িত্বে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা থাকেন। এ বিষয়ে দায়িত্ব তারই।
গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়া জানান কৃষকেরা কিছু ধান খারাপ দিয়েছেন, সেগুলোর চাল নিম্নমানের হতে পারে।
তবে কিছু ভুল রয়েছে বলে স্বীকার করেন। বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, বিপুল পরিমাণ চাল পচা দুর্গন্ধময় ও খাওয়ার অনুপযোগী পাওয়া গেছে। খাদ্য গুদাম সিলগালা করা ছাড়াও নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।