নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা শনিবার। বিকাল ৩:৫০। ৩১ মে, ২০২৫।

গাজায় চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে ট্রাক প্রবেশের অনুমতি চায় ডব্লিউএইচও

মে ২৭, ২০২৫ ১২:৩৬
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : ইসরাইল অবরোধ প্রত্যাহার করার পরও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)’র চিকিৎসা সহায়তাবাহী কোনো ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে না পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংস্থাটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

জেনেভা থেকে এএফপি জানায়, গত দুই মাসেরও বেশি সময় অবরোধের মুখে থাকা গাজা উপত্যকায় সামান্য পরিমাণে সহায়তা প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তবে ডব্লিউএইচও’র ট্রাকগুলো এখনও প্রবেশের অনুমতি পায়নি বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় আঞ্চলিক পরিচালক হানান বালখি।

তিনি বলেন, ‘গত ১১ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজায় হু’র কোনো চিকিৎসা সহায়তাবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পারেনি। পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ।’

আরও পড়ুনঃ  রাবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু বর্তমানে পরিচালিত সহায়তা কার্যক্রম নিয়ে নয়, বরং ভবিষ্যত প্রজন্মের ওপর এর যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে, তা নিয়েও গভীরভাবে চিন্তিত।’

ইসরাইলের নতুন করে হামাস ধ্বংসে অভিযানে নামার পর গত মার্চ থেকে শুরু হওয়া অবরোধ বিশ্বব্যাপী নিন্দার জন্ম দেয়। এই অবরোধের ফলে গাজায় চরম খাদ্য ও চিকিৎসা সংকট দেখা দেয়।

বালখি জানান, ‘গাজায় প্রবেশের জন্য প্রায় ৪০০ ট্রাক অনুমোদন পেয়েছে, তবে মাত্র ১১৫টি ট্রাকই প্রবেশ করতে পেরেছে। এর মধ্যে কোনো ট্রাকই গাজার উত্তরের অবরুদ্ধ এলাকায় পৌঁছায়নি এবং হু’র ট্রাকগুলো একটিও ঢুকতে পারেনি।’

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফরিদপুরে গ্রেপ্তার

তিনি জানান, বর্তমানে সীমান্তে ৫১টি চিকিৎসা সরঞ্জামবাহী ট্রাক অপেক্ষমাণ রয়েছে।

হু’র আঞ্চলিক জরুরি সহায়তা পরিচালক আহমেদ জুইতেন বলেন, তারা আশা করছেন সহায়তাবাহী ট্রাকগুলো শিগগিরই প্রবেশ করতে পারবে, তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

ইসরাইলের এই নতুন অভিযান আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। স্পেনে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ও আরব নেতাদের বৈঠকে এই যুদ্ধকে ‘অমানবিক’ ও ‘অর্থহীন’ আখ্যা দিয়ে অবসানের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  মিরপুরে দিনে-দুপুরে গুলি করে ব্যবসায়ীর ২২ লাখ টাকা ছিনতাই

২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১,২১৮ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়, যাদের মধ্যে এখনও ৫৭ জন গাজায় অবস্থান করছেন এবং ইসরাইলি সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, এদের মধ্যে ৩৪ জন ইতোমধ্যেই মারা গেছেন।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে গাজায় অন্তত ৩,৮২২ জন নিহত হয়েছেন। এতে করে চলমান যুদ্ধের মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩,৯৭৭-এ, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নগরিক।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।