অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ২০ দফার একটি প্রস্তাব প্রকাশ করেন। এর সঙ্গে সম্মতি জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এখন এই প্রস্তাবের ওপর সোলভেন্সি (সম্মতি) জানাতে হবে হামাসকে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, যদি হামাস সম্মত হয়, তবে ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ও মৃত-দুই রকম-সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে গাজার ওপর সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নিয়ন্ত্রণ ছাড়ার শর্ত রাখা হয়েছে। গাজার প্রশাসন পরিচালনার জন্য একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন করা হবে-যাতে আমেরিকা, ইউরোপ ও আরব দেশগুলোর অংশগ্রহণের কথা বলা হয়েছে এবং প্রস্তাবনে ট্রাম্পের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, গাজার মানুষ গাজাতেই থাকবে এবং তাদের জোরপূর্বক অন্য কোনো দেশে পাঠানো হবে না। এছাড়া তিনি জানিয়েছেন, গাজা ও হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্রকরণ করা হবে এবং এ কাজে আরব দেশগুলো সহায়তা করবে-তারা হামাসকে নিরস্ত্রকরণে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। সুড়ঙ্গসহ হামাসের সব অবকাঠামো ধ্বংস করারও কথা বলা হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, যদি আরব দেশগুলো হামাস ও গাজাকে নিরস্ত্র করতে ব্যর্থ হয় তাহলে ইসরায়েল নিজে এই কাজটি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র তা পূর্ণভাবে সমর্থন করবে। তিনি হামাসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, প্রস্তাব গ্রহণ না করলে বা গ্রহণ করেও পুনরায় পুনর্গঠন/সশস্ত্রীকরণে গেলে ইসরায়েল তাদের নির্মূলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে-যা তিনি ‘সহজ’ অথবা ‘কঠিন’ পন্থায় করার কথাও উল্লেখ করেন।
এক তথ্যসূত্র বলছে, বৈথিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে ভূমিকা থাকতে পারে গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ট্রাম্পের ৮টি মুসলিম রাষ্ট্রের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক। ওই আলোচনাই হয়তো এই প্রস্তাবের ভিত্তি গড়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এখন মূল প্রশ্ন হল-হামাস কি এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে? গ্রহণ করলে বাস্তবায়ন, তদারকি ও নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া কেমন হবে-এগুলো নিয়েই আগামি সময়ের বিষয়বস্তু হবে।