নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা মঙ্গলবার। রাত ৪:১৯। ৩ জুন, ২০২৫।

গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না

জুন ১, ২০২৫ ২:২৩
Link Copied!

তারিখটা ছিলো ২০১৯ সালের ২০ জুলাই। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল সাড়ে আটটা ছুঁই ছুঁই। ভোররাতে শ্রাবণের এক পশলা বৃষ্টির পর রাজধানীর উত্তর-পূর্ব বাড্ডার সকালটি আর সব দিনের মতো কর্মচঞ্চল হয়ে উঠছে মাত্র। এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশের পথ আটকে অভিভাবকরা এক নারীকে জেরা করছেন। নারীটি তার চার বছরের শিশুকে ভর্তি করতেই বিদ্যালয়ে এসেছেন বলে জানান। তিনি আরও বলেন,“এর আগেও একবার স্কুলের ম্যাডামদের সঙ্গে কথা বলে গেছি। তাই আবার এসেছি।” পরে নারীটি স্কুলের ভেতরে ঢোকেন, সঙ্গে ঢোকেন অভিভাবকরাও। একসময় ছেলেধরা সন্দেহে স্কুলের ভেতরেই তার ওপর চড়াও হন অভিভাবকরা। “আমি ছেলে ধরা না, আমি ছেলে ধরা না” বাঁচার এ আকুতিও শেষ রক্ষা করতে পারেনি তাকে। গণপিটুনির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে একপর্যায়ে প্রায় অচেতন হয়ে পড়েন। এরপরও চলতে থাকে নির্মম আঘাত। এক সময় ক্ষীণ হয়ে আসে তার কণ্ঠ, নিভে যায় জীবন প্রদীপ।
সেদিনের নিহত নারী তাসলিমা বেগম রেনুর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায়। রাজধানীর মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে আর মাকে নিয়ে থাকতেন তিনি। ঘটনার দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। তাসলিমারা ছিলেন এক ভাই ও পাঁচ বোন। তিনি সবার ছোট। মাস্টার্স শেষ করে তিনি ঢাকায় আড়ং ও ব্র্যাকে চাকরি করেছিলেন, প্রাইভেটও পড়াতেন। পরের বছরের জানুয়ারিতে বড় ভাই আলী আজগরের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল তার। যুক্তরাষ্ট্রে আর যাওয়া হলো না, নির্মম মৃত্যুতে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এদিকে তাসলিমার মৃত্যুর পর সবচেয়ে অসহায় হয়ে পড়ে তাঁর ছোট মেয়ে তাসনিম তুবা। সেসময় মায়ের কথা মনে পড়লেই কেঁদে উঠতো সে। তখন তাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে রাখতো স্বজনরা। কখনো বলতো, আম্মু নিচে গেছে, তার জন্য ড্রেস নিয়ে আসবে। কখনো মজার খাবারের আশ্বাস দিয়ে চুপ রাখতো। কখনোবা বিভিন্ন রকমের খেলার সামগ্রী দিয়ে মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে রাখার চেষ্টা চলতো। নিহতের ভগ্নিপতি বদিউজ্জামান সেসময় গণমাধ্যমে বলেন, “অভিভাবকরা সন্তান ভর্তি করার জন্য স্কুলে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে গুজব ছড়িয়ে একজন শিক্ষিত-সংগ্রামী নারীকে এভাবে প্রকাশ্যে হত্যা করতে হবে, সভ্য সমাজে এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
আবার এইতো কিছুদিন আগে, ২০২৫ সালের ১৩ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার রামদি ইউনিয়নের তাতারকান্দি এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে বেদম পেটানো হচ্ছিল এক যুবককে। কিন্তু যে শিশুটিকে  ‘চুরির সন্দেহে’ পেটানো হচ্ছে সেই শিশুই যে বারবার ‘বাবা, বাবা’ বলে চিৎকার করছে; তাতে ভ্রুক্ষেপই করেনি গণপিটুনি দেওয়ায় ব্যস্ত তরুণ ও যুবকেরা। প্রকৃতপক্ষে তিন বছরের শিশুকন্যা মায়ের কাছে যেতে অস্থির হওয়ায় তার কান্না থামাতে মেয়েকে নিয়েই  স্ত্রীর খোঁজে বের হয়েছিলেন যুবক সোহেল। পথে তাতারকান্দি এলাকা অতিক্রমের সময় শিশু লাইসার ‘মা-মা’ বলে কান্না শুনে ছেলেধরা সন্দেহে স্থানীয় কয়েকজন ঐ শিশুটিরই বাবা সোহেল মিয়াকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারপিট করতে থাকে।
এভাবে কেবল ছেলেধরা গুজবে, সন্দেহের বশে দেশের বহু মানুষ অযথাই গণপিটুনির শিকার হয়েছেন, তার মধ্যে অনেকেই আবার প্রাণে মারা পড়েছেন নতুবা পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে আছেন। দেশে বহুবিষয়ে অনলাইনে-অফলাইনে বহুমাত্রিক গুজবের দেখা পাওয়া যায়। প্রকৃতপক্ষে গুজব হল কোনো ঘটনা সম্পর্কে লোকমুখে প্রচারিত সত্যতা যাচাইবিহীন কিছু কথা বা ব্যাখ্যা। সমাজ বিজ্ঞানের ভাষায়, গুজব হল এমন কোন বিবৃতি যার সত্যতা অল্প সময়ের মধ্যে অথবা কখনই নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। সমাজবিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞান শাস্ত্রে গুজবের ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞা পাওয়া যায়। গুজব অনেক ক্ষেত্রে ‘ভুল তথ্য’ এবং ‘অসংগত তথ্য’ এই দুই বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ভুল তথ্য বলতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য এবং অসঙ্গত তথ্য বলতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা বোঝায়। রাজনীতিতে গুজব বরাবরই একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে।
কেউ কেউ বলেন, গুজব বাতাসের চেয়েও দ্রুত গতিতে ছড়ায়। কিন্তু কীভাবে? কেউ হয়তো নিজের মতো করে একটা কথা বললেন, দেখা যায়, ঘণ্টা পেরোনোর আগেই সেটা জেনে ফেলেন অনেক মানুষ। আগে গুজব ছড়াত মূলত মুখে মুখে। তবে এখন আর সেভাবে অত ছড়ায় না বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তে ছড়িয়ে দেওয়া যায় অনেকের কাছে। বর্তমানে সাধারণত ছবি এডিট করে অহরহ গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে আসল ছবিতে ভিন্ন স্থান ও সময়যু্ক্ত করে ছবির প্রেক্ষাপট বদলে ফেলা হয়। জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় এমন বিষয়বস্তু নিয়ে মিথ্যা ও চটকদার ভিডিও তৈরি করে ছড়ানো হয়। এছাড়া পুরোনো ভিডিওতে বর্তমান সময়ের কথা ব্যবহার করে নতুন ঘটনার জন্ম দেওয়া এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে একজনের চেহারায় তার আর্টিফিসিয়াল ভয়েস যু্ক্ত করে ডিপ ফেইক প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন ভুয়াভিডিও তৈরি করেও গুজব ছড়ানো হয়। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এড়িয়ে বা প্রসঙ্গ বদলে ফেলে বানোয়াট তথ্যকে সত্য বলে প্রচারের মাধ্যমেও গুজব ছড়িয়ে থাকে। কেউ আবার মজার ছলে ভাইরাল হওয়ার জন্য কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বেশি ভিউ পাওয়া ও আয়ের উদ্দেশ্যে গুজবের কন্টেন্ট তৈরি করে তা সাইবার স্পেসে ছড়িয়ে দেন।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানো নিষিদ্ধ ও মারাত্মক গুনাহের। রসুল সা. এর একটি কথা মেনে চললেই মুমিন এ নিষিদ্ধ বিষয়টি থেকে বাঁচতে পারবে। রসুল সা. বলেন, সব শোনা কথা (যাচাই-বাছাই করা ছাড়া) বলা কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট (আবু দাউদ ৪৯৯২)। রাসুলের নিষেধ সত্ত্বেও আমরা যা শুনি তাই বলে বেড়াতে থাকি, সোশ্যাল মিডিয়ায় যাই দেখি তা শেয়ার বা প্রচার করতে থাকি। একটুও যাচাই-বাছাই করি না। এটা অনেক সময় অপবাদ দেওয়ার মতো হয়ে যায়। অথচ এ বিষয়গুলো ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গুজবের গল্পগুলো আংশিক সত্য বা মিথ্যাও হতে পারে, তবে মানুষের কৌতূহলজনক তথ্য শেয়ার ও আলোচনা করার প্রবণতার কারণে এগুলো অধিক মাত্রায় আকর্ষণীয় হয়। গুজব পরিচিতদের সম্পর্কে জাগতিক গসিপ থেকে শুরু করে স্বনামধন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আরো গুরুতর অভিযোগ বা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব পর্যন্ত হতে পারে।
ইতিহাস জুড়ে গুজবকে রাজনৈতিক বিপ্লবের প্রচার, ব্যক্তি স্বার্থ, ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলে কারসাজি ও নিয়ন্ত্রণ এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের জন্য সাম্প্রদায়িক উসকানির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের উদাহরণ রয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘কর্পস ফ্যাক্টরি’ গুজব ছড়িয়ে দাবি করা হয়েছিল যে জার্মানরা তাদের নিজস্ব সৈন্যদের মৃতদেহ ব্যবহার করে পণ্য তৈরি করছে, এটি যুদ্ধকালীন প্রোপাগান্ডা হিসেবে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছিল। আরব বসন্তের সময় তিউনিসিয়ায় ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গুজবের দ্রুত বিস্তার ঘটতে দেখা যায়। এছাড়া কিছুদিন আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়লে লবণের দামেও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও প্রয়োজনের অধিক পরিমাণে লবণ কেনার হিড়িকও আমরা দেখতে পাই। ব্যক্তির চরিত্র ও কাজ সম্পর্কে মিথ্যা গুজব তাদের সুনামকে কলঙ্কিত করতে পারে, যা তাদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী মানসিক কষ্টের কারণ হতে পারে। একটি মিথ্যা বা গুজব পারস্পরিক ব্যক্তি পর্যায়ের সম্পর্ককে নষ্ট করে। একটি পরিবারের মধ্যে গুজব ছড়ানোর কারণে সম্পর্কে টানাপড়েন, পারিবারিক কলহ এবং মানসিক অশান্তি হতে পারে। সমাজে বিভিন্ন শ্রেণি, গোষ্ঠী ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে গুজব ছড়ানো হলে তা সামাজিক সম্প্রীতি ও সংহতি ব্যাহত করতে পারে। বিশেষ করে রাজনীতি বা ধর্মের মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত গুজব সমাজকে মেরুকরণের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা অনেক সময় সামাজিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে।
বিশ্বায়নের এই যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গুজব বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। গুজব থেকে বাঁচতে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকেও সচেতন করতে হবে। জনসাধারণকে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ও গুজবের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়ে সাহায্য করতে মিডিয়া লিটারেসি শিক্ষাদানে স্কুল-কলেজ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগাতে হবে। যার মাধ্যমে মানুষ সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা ও ফ্যাক্ট চেকিংয়ের কৌশল শিখবে। গণমাধ্যমে কোনো সংবাদ প্রচার বা প্রকাশের আগে তার বিশ্বাসযোগ্য সূত্র ও ফ্যাক্ট চেকিংয়ের মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা দরকার। পাশাপাশি তার পেছনে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠীর স্বার্থ আছে কি না, তাও দেখতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে কিছু তথ্য সত্য, কিন্তু তা প্রকাশ পেলে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মাঝে মতভেদ সৃষ্টি হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তাই এমন তথ্য প্রকাশ থেকে বিরত থাকা উচিত।
সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে যে, নির্ভরযোগ্য উৎস ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো তথ্যে বিশ্বাস করা যাবে না। যাচাই-বাছাই ছাড়া তথ্য শেয়ার থেকে দূরে থাকতে হবে। অন্যকে ভুয়া তথ্য ছড়াতে দেখলে বাধা দেওয়া ও সঠিক তথ্য জানানোর চেষ্টা করা আবশ্যক। কোনো সংবাদ দেখার পর সেটি প্রতিষ্ঠিত জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে যাচাই করে দেখার অভ্যাস গড়তে হবে। প্রচলিত নয় এমন ওয়েবসাইট, নিউজ সাইট, পেজ বা গ্রুপের চটকদার তথ্য বিশ্বাস করা যাবেনা। ব্যক্তির ক্ষেত্রে তথ্য যাচাইয়ের (ফ্যাক্ট চেক) সাইট থেকে তথ্য যাচাই করার পদ্ধতি জানার বিকল্প নেই। সাইবার অপরাধ নিয়ে দেশে বিদ্যমান আইনে শাস্তি সম্পর্কে সবাইকে জানাতে পারলেও সংক্রান্ত অপরাধ কমানো যাবে। কোনো মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য বা গুজব বড় আকারে রটানোর আশঙ্কা থাকলে রাষ্ট্রকে তার বিরুদ্ধে আগেই সতর্ক হতে হবে।
প্রযুক্তির কল্যাণে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। জীবযাপনে এর ইতিবাচক প্রভাব থাকলেও সাইবার অপরাধের কারণে ক্ষতির পরিমাণও কম নয়। বিশেষ করে গুজব ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর বড় একটি স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সাইবার জগৎ। মতপ্রকাশের অধিকার আছে সবার, কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে যা খুশি তা ছড়িয়ে দেওয়া নয়। বিষয়টি অনুধাবন করে যার যার অবস্থান থেকে অপতথ্য প্রতিরোধের সময় এসেছে।

আরও পড়ুনঃ  পুলিশ বাহিনীতে ৮ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রস্তাব

লেখক: ম. জাভেদ ইকবাল
সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর, ঢাকা।
পিআইডি ফিচার

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।