নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা রবিবার। ভোর ৫:১৭। ১৩ জুলাই, ২০২৫।

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে ১১ টুকরো করা ঘাতক স্বামী গ্রেপ্তার

জুলাই ১২, ২০২৫ ১১:৩৩
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রামের বায়েজিদে স্ত্রী ফাতেমা আক্তারকে (৩২) হত্যা করে ১১ টুকরো করার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি মো. সুমনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চট্টগ্রাম র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এম. আর. এম মোজাফ্ফর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ফাতেমা বেগমের বাড়ি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে। তার স্বামী অভিযুক্ত সুমন পেশায় গাড়িচালক। সিফাত নামে আট বছরের একটি ছেলে সন্তানও আছে তাদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ এলাকায় পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির এক ভবনে স্ত্রীকে হত্যা করে ১১ টুকরো করে সুমন। পরে বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড মশিউর রহমান দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক শব্দ শুনে বাসায় গেলে সুমন তাকে ঢুকতে বাধা দেয়। সন্দেহ হলে মশিউর জোর করে বাসায় ঢুকে রক্তের দাগ ও বাথরুমে রক্তমাখা কাপড় দেখতে পান। তখন স্থানীয়দের খবর দিতে গেলে সুমন বাসার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যান।

আরও পড়ুনঃ  গণমাধ্যম সংস্কারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ: ১২টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ

এ বিষয়ে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার পর সুমন সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে বেড়ায়। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তিনি বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর চেষ্টা করলেও, তদন্তে পরকীয়ার জেরে হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ মেলে।

আরও পড়ুনঃ  বৈষম্যহীন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবে এনসিপি : নাহিদ

র‌্যাব-৭ জানায়, হত্যার আগে সুমন তার একমাত্র সন্তানকে আত্মীয়ের বাসায় পাঠিয়ে দেন। পরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ ১১ টুকরো করেন। মাথা ও দুই হাত ফ্রিজে রেখেছিলেন তিনি। বাকি অংশগুলো ফ্ল্যাটের বিভিন্ন জায়গায় ও কমোডে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। পরে সিকিউরিটি গার্ড ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বায়েজিদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের বড় ভাই মো. আনোয়ার হোসেন রুবেল বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুনঃ  জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ ও প্রচারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ

জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানায়, ১০ বছর আগে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়। বিদেশ থেকে ফেরার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিলো। ঘটনার রাতে বাসায় কয়েকজন যুবকের আসাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে স্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন সুমন।-ইত্তেফাক

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।