স্টাফ রিপোর্টার : চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছেলের বউকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৫)।
রবিবার ১৩ জুলাই র্যাবের পাঠানোর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শনিবার ১২ জুলাই রাত ১টার দিকে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ডোবরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভিকটিমের প্রায় ০৫ বছর পূর্বে আসামী মোঃ টুলু আলী এর পুত্র মোঃ মাসুদ রানা এর সহিত বিবাহ হয়। বিবাহের পর হতে ভিকটিমের শ্বশুর আসামী মোঃ টুলু আলী এর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে পুত্রবধুর উপর। আসামী টুলু আলী সুযোগ বুঝে বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে অশ্লীল কথাবার্তা বলে উত্যাক্ত করত এবং কুপ্রস্তাব দিত।
বিষয়টি ভিকটিম তার স্বামীসহ তার বাড়ীর লোকজনদের জানালে আসামী দিন দিন বে-পরোয়া হয়ে উঠে। গত ২ জুন বাড়ীতে ভিকটিমের স্বামী ও শ্বাশুরী না থাকার সুযোগ আসামী টুলু আলী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার সময় জোর পূর্বক ০৪টি ঘুমের ঔষধ ভিকটিমকে সেবন করায়। ঔষধ খাওয়ানোর পরে ভিকটিম তার শয়ন ঘরে বিছানায় ঘুমিয়ে পড়লে আসামী ভিকটিমকে ধর্ষন করে।
রাত আনুমানিক ১২ টায় ভিকটিমের ঘুম ভাঙ্গলে আসামী আবারো জোর পূর্বক ভিকটিমকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দফায় দফায় ধর্ষন করে এবং উক্ত ঘটনার বিষয়ে কাউকে কোন কিছু না বলার জন্য প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ৪ জুন ভিকটিম তার নানা-নানির বাড়ীতে গিয়ে আত্মীয় স্বজনদের কে আসামীর কু-কর্মের কথা বলে। সেই দিনই আসামী ভিকটিমকে তাদের বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিকটিমরে নানা-নানির বাড়ীতে গেলে তাকে আটক করে ৪নং মোবারকপুর ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেয়। ঘটনার বিষয়ে জানাজানি হলে আসামীর পরিবারবর্গ আত্মীয় স্বজন মীমাংসার কথা বলে ইউনিয়ন পরিষদ হতে আসামীকে নিয়ে যায়।
কিন্তু ভুক্তভোগী আপস না করে গত ৭ জুলাই শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত শ্বশুর পলাতক ছিলেন।
গ্রেফতারের পর আসামীকে শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।