তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে জমি বিক্রেতা এক নারীর চুরি হওয়া ১১ লাখ, ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ১০লাখ ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার ও চোরকে গ্রেপ্তার করে প্রসংশায় ভাসছেন তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আফজাল হোসেন। গ্রেপ্তার চোরের নাম আরজেদ আলী (৩৪)। সে তানোর উপজেলার একান্নপুর গোয়ালপাড়া (জোতপাড়া) গ্রামের সাইদুর রহমানের পুত্র। এঘটনায় জমি বিক্রেতা ওই নারী বাদি হয়ে তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত চোরকে পুলিশ স্কোটের মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার বিবরন, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে তানোর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা এলাকার শিরইল মঠপুকুর মহল্লার মৃত রবিউল হকের স্ত্রী মাবিয়া খাতুন (৬৫) তানোরের জমি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মফিজ উদ্দীন স্ত্রী আম্বিয়া (৬৫)’র কাছে ১১লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। টাকা নিয়ে ওই নারী (জমি বিক্রেতা) সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মধ্যে একটি চেয়ারে বসেন এবং টাকার ব্যাগটি পাশের আর একটি চেয়ারে রাখেন। এসময সামান্য অন্য মনস্ক হয়ে পড়ার সুযোগে টাকার ব্যাগ নিয়ে পারিয়ে যায় চোর।
কিছুক্ষন পর সেখানে টাকার ব্যাগ দেখতে না পেয়ে ওই তার সাথে থাকা লোকজনসহ সাব-রেজিস্ট্রিারকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষনিক ভাবে সিসি ক্যামেরা চেক করে টাকার ব্যাগ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। ঘটনার পরপরই ওই নারী বাদি হয়ে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আফজাল হোসেন সংগীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে চোরকে তার নিজ বাড়ি থেকে নগদ ৯৫ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করেন। পরে চোরের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির পার্ম্বের মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা আরো ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এঘটনায় এলাকা বাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি প্রসংশায় ভাসছেন ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা। বাধাইড় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান হেনা বলেন, টাকা উদ্ধার ও চোরকে গ্রেপ্তার করায় পুলিশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হওয়ার পাশাপাশি প্রসংশায় ভাসছেন ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা। তিনি বলেন, এই টাকা উদ্ধারের বিষয়টি সত্যি প্রসংশনীয় একটি দৃষ্টিান্ত হয়ে থাকবে।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, এমন চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর পরই তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দার তথ্যের ভিত্তিতে চোরকে আটক এবং চুরি হওয়া ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মধ্য ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃত চোরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।