মুনা সুলতানা, জবি প্রতিনিধি : দুই দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে জবি শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপেক্ষিতে গত রবিবার ব্রেক দ্য সাইলেন্স কর্মসূচি পালন করেন জবি শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকাল তিনটা থেকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় আন্দোলনকারীরা এবং আট ঘন্টা পরে তালা খুলে দেয়।
২৫ শে আগস্ট পাঁচ দফা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জবি শিবির। দফা গুলো হলো:
১. বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ সিন্ডিকেট পরবর্তী সময়ে নীতিমালা ইউজিসিতে পাঠানোর পর সেটি ইউজিসির মাধ্যমে মন্ত্রনালয় থেকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিধি আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে সংযুক্ত করে নিয়ে আসতে হবে।
২. বিধি আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আসা মাত্রই রোডম্যাপ ঘোষণা করে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
৩. আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে সম্পূরক বৃত্তির নীতিমালা সম্পন্ন করতে হবে।
৪. নীতিমালা সম্পন্ন করার পর ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ইউজিসি ও মন্ত্রনালয়ের সাথে কোলাবোরেশান করে অক্টোবর থেকে বৃত্তি কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
এই সম্পর্কে জবি শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সব সময় শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
আমরা সবার সাথে একসাথে মিলে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদের এই একত্রিত আন্দোলন চলমান থাকবে। পাশাপাশি আমাদের থেকে আলাদা ভাবে প্রেসার ক্রিয়েট করার কাজ চলতে থাকবে। যাতে করে দ্রুত এই দাবি গুলো আদায় করে নিয়ে আসা যায়।”
ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ বলেন,” আমরা যে দাবি জানিয়েছি তা দ্রুত সময়ে অবশ্যই বাস্তবায়ন যোগ্য। প্রশাসন চাইলে আমরা আমাদের এই দাবিগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো। যদি আমাদের এই দাবিগুলো মেনে না নেয়া হয় তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।”
জবি শিবিরের অর্থ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন,”আজকে আমরা জবি শিবিরের পক্ষ থেকে সম্পূরক বৃত্তি ও জকসুর টাইমলাইনের দাবিতে প্রশাসন বরাবর ৫টি প্রস্তাবনা দাবি আকারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছি।আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, সম্পূরক বৃত্তি ও জকসুর ব্যাপারে আর কোনো তালবাহানা শিক্ষার্থীরা মেনে নিবে না। তাই যতদ্রুত সম্ভব এই দুই দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। “