অনলাইন ডেস্ক : শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকার গারো পাহাড়ে ও বিভিন্ন লোকেশনে চলছিল চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী ও অভিনেতা আব্দুন নূর সজলের নতুন সিনেমা ‘শাপলা শালুক’ এর শুটিং। কিন্তু শুটিংয়ের সময় সেখানে বন্যহাতির আগমন ঘটে, ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বুবলী-সজলসহ সিনেমার কলাকুশলীরা।
অভিনেতা সজল জানিয়েছিলেন, গত ৯ দিন ধরে শুটিং করছেন তারা। আর প্রায়ই বন্যহাতির আক্রমণের শিকার হন। গত বুধবার তাদের শুটিং সেটে আচমকা ৮-৯ টি বন্যহাতির দল চলে আসে, এতে কলাকুশলীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, পরে সেই হাতিগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বলা বাহুল্য, এ ঘটনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। একদল তারকা-কলাকুশলীদের সুরক্ষা নিয়ে যেমন উদ্বেগের মাঝে পড়েছিলেন, আরেকদল প্রাণীদের অভয়ারণ্যে মানুষের অযথা উপস্থিতি কিংবা সিনেমার শুটিং চলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। শুধু তাই নয়, বনবিভাগের দায়বদ্ধতা নিয়েও কথা উঠিয়েছেন অনেকে।
তবে বিষয়টি নিয়ে বেশ সরব ছিলেন নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। এমনিতেই প্রাণী সুরক্ষা নিয়ে গলার স্বর বরাবরের মতোই উঁচুতে রাখেন তিনি। এবারও ব্যতিক্রম হয় নি; খানিকটা ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সামাজিক মাধ্যমে; সজল-বুবলীর এই সিনেমার শুটিং বন্ধে বন বিভাগের প্রতি আহ্বানও জানান জয়া।
কিন্তু জয়ার এই প্রতিক্রিয়া ভালোভাবে নেননি ‘শাপলা শালুক’ সিনেমার নির্মাতা ও একসময়ের অভিনেত্রী রাশেদা আক্তার লাজুক। জয়ার কথার পাল্টা জবাব দিয়ে লাজুক জানান, জয়ার এমন মন্তব্য আশা করেননি তিনি, এমনকি তার এই পোস্টটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে লাজুক বলেছেন, ‘জয়া আহসান ফোন করে আমাদের একটা খবর নিতে পারতেন, কেননা শুটিংয়ে হাতির আক্রমণ হয়েছে। এখানে বুবলী আছেন, আব্দুন নূর সজল আছেন। সজলের সঙ্গে তার অনেক কাজ হয়েছে। ওই জায়গা থেকেও খোঁজ নিতে পারতেন আমরা ঠিক আছি কি না। তা না করে উল্টো আমাদের শুটিং বন্ধের আহ্বান জানালেন! ওনার কাছে এরকম আচরণ আশা করিনি, এটা দুঃখজনক।’
লাজুক আরও বলেছেন, ‘তিনি ওই পোস্টে তিনি বন বিভাগের কাছে ছবির শুটিং বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। আমি মনে করি তার এই পোস্ট অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেননা শুরু থেকেই ছবিটি আটকে দিতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে একটি সজল-বুবলীদের শুটিংয়ে হাতির আক্রমণের খবরের কার্ড শেয়ার করে জয়া লেখেন, ‘এই আরেক উপদ্রব বনের ভিতর। বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মন চাইলেই লাইট ক্যামেরা একশন শুরু করা যায়? মাইকের শব্দ, শুটিং টিমের বর্জ্য, গান-বাজনা এগুলো কি এলাউ করা ঠিক হবে এরকম একটা সেন্সিটিভ জায়গায়?’
জয়ার এই প্রশ্নের সঙ্গে অনেকেই একমত পোষণ করেছেন। তারা বলছেন, বনের পরিবেশে শুটিং ইউনিটের নানা আয়োজন পশু-পাখিদের আতঙ্কিত করে তোলে।