নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা বুধবার। সন্ধ্যা ৭:২১। ১৪ মে, ২০২৫।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় রাজশাহীতে কর্মশালা

মে ১৪, ২০২৫ ৩:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী পরামর্শমূলক কর্মশালা। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ)-এর যৌথ উদ্যোগে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

“এক্সটেন্ডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেইন্জ প্রোজেক্ট”(ইসিসিসিপি)–এর আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, উন্নয়ন সংগঠন, জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, গবেষক এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান মো. জাকির আহমেদ খান। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, এনডিসি। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পিকেএসএফ-এর উপ-মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প প্রধান ড. মোস্তাফা রাশিদ হোসেন আহমেদ।

আরও পড়ুনঃ  নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি ফের বুধবার

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে, বিশেষত খরা প্রবণ রাজশাহী অঞ্চলে। এখানকার কৃষি, পানি ব্যবস্থাপনা, জীববৈচিত্র্য এবং সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রা জলবায়ুর পরিবর্তনে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

প্রকল্পটি স্থানীয় জনগণকে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বক্তারা। পাশাপাশি প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন পদ্ধতির আধুনিকায়ন, বিকল্প জীবিকা বিকাশ, পানি ব্যবস্থাপনায় টেকসই পদ্ধতি গ্রহণ এবং নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

প্রকল্পের কাঠামো, লক্ষ্য, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা বিষয়ে একটি বিশদ উপস্থাপনা তুলে ধরেন ড. মোস্তাফা রাশিদ হোসেন আহমেদ। তিনি বলেন, “ইসিসিসিপি প্রকল্পটি জলবায়ু অভিযোজনের একটি সম্প্রসারিত উদ্যোগ, যেখানে কমিউনিটি পর্যায়ে মানুষকে সম্পৃক্ত করে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু

তিনি আরও জানান, রাজশাহীর পাশাপাশি দেশের আরও কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, কৃষি বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই কেবল সরকারি উদ্যোগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এজন্য প্রয়োজন তৃণমূল জনগণের অংশগ্রহণ, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা।

আরও পড়ুনঃ  সীমান্তে সেনা উপস্থিতি কমাতে একমত হলো ভারত-পাকিস্তান

এছাড়া, তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করে জলবায়ু শিক্ষা প্রসার এবং প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়।

বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেন, “জলবায়ু অভিযোজন এখন সময়ের দাবি। সরকার, উন্নয়ন সংস্থা এবং জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি সহনশীল ও টেকসই রাজশাহী গড়ে তুলতে পারি।”

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব প্রতিরোধে এ ধরনের প্রকল্প এবং কর্মশালা সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয়। তারা আশা করেন, স্থানীয় বাস্তবতায় উপযোগী কার্যক্রম এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে প্রকল্পটি একটি কার্যকর মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।