অনলাইন ডেস্ক : জুলাই মাসের ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতের কোনো সরকার যেন জুলাই অভ্যুত্থানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন না তোলে, সে জন্য সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে এই অভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ‘অভ্যুত্থানের বাঁক বদলের দিন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আলোচনায় আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকার ও তার মন্ত্রী-এমপিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে হবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরও বিচারের মুখোমুখি হওয়া প্রয়োজন।’
তবে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত নন, তাদের বিষয়ে ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন’ বা জাতীয় মিলন-মীমাংসা কমিশনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন তিনি। ‘সবাইকে বিচার করতে গেলে জাতি প্রতিশোধ ও বিভক্তির আবর্তেই আটকে যাবে,’—এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ন্যায়বিচার ও স্থায়ী শান্তির জন্য একটি সমঝোতার কাঠামো তৈরি করতে হবে।’
আলোচনায় সালাহউদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘কিছু মহল স্লোগানের আড়ালে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। এরা মূলত ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার পথ সুগম করছে। তবে আমরা ঐক্য অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর।’
তিনি আরও জানান, জুলাই ঘোষণাপত্রের একটি পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ বিএনপি ফেব্রুয়ারিতেই জমা দিয়েছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে তার পরিমার্জিত সংস্করণও দাখিল করা হয়েছে।
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম। ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্র মৈত্রী, খেলাফত ছাত্র মজলিস, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ ১২টি সংগঠনের নেতারা বক্তব্যে বলেন, ‘জুলাইয়ের ঐক্য ও অর্জনকে কেউ কেউ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
তাঁরা একাত্তর ও চব্বিশ সালের গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিও জানান। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।-ইত্তেফাক