জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি চিত্র এবং প্রতিটি প্রতিবাদ আমাদের ইতিহাসের একেকটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই ইতিহাসকে শুধু মনে রাখলেই চলবে না—তাকে সংরক্ষণ করতে হবে এবং ছড়িয়ে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ ও প্রচার কেবল একটি প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় নয়, এটি দায়িত্ব, এটি চেতনার উত্তরাধিকার। দায়িত্ব ও চেতনাবোধের জায়গা থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থাসমূহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ ও প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ জনস্মৃতিতে জীবন্ত করে রাখতে তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহের নির্বাচিত আলোকচিত্র নিয়ে পিআইডি ইতোমধ্যে ‘রক্তস্নাত জুলাই বিপ্লব’ শিরোনামে ফটো অ্যালবাম প্রকাশ করেছে। এই অ্যালবামে ২০২৪ সালের ৫ই জুন থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনকেন্দ্রিক বিভিন্ন ঘটনার স্থিরচিত্র স্থান পেয়েছে। এর পাশাপাশি পিআইডি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ‘রক্তস্নাত জুলাই বিপ্লব’ শিরোনামে ১০ খণ্ডের সংকলন প্রকাশ করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ভিডিও সংগ্রহেরও উদ্যোগ নিয়েছে পিআইডি। ইতোমধ্যে এক হাজারের অধিক ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব ভিডিও স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য শীঘ্রই বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে প্রেরণ করা হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহের তথ্য সংরক্ষণ ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে পিআইডি একটি নতুন ওয়েবসাইট চালু করেছে। এ বছরের ২৫শে মার্চ তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম এই ওয়েবসাইটের (inauguration.julyuprising.com) উদ্বোধন করেন। এই ওয়েবসাইটে চারটি ক্যাটাগরিতে গণঅভ্যুত্থান-সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করা হয়েছে। ‘স্ক্যান নিউজপেপার’ ক্যাটাগরিতে গণঅভ্যুত্থানকালীন পত্রিকাসমূহের সম্পূর্ণ স্ক্যান কপি আপলোড করা হয়েছে। ‘নিউজ ক্লিপিং’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ক্লিপিং। ‘ফটো অ্যালবাম’ ক্যাটাগরিতে পত্রিকায় প্রকাশিত এবং বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত আন্দোলন-সংক্রান্ত স্থিরচিত্র আপলোড রয়েছে। এছাড়া ‘রিজিওনাল নিউজপেপার’ ক্যাটাগরিতে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের পত্রিকার সম্পূর্ণ স্ক্যান কপি আপলোড করা হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে প্রকাশনা তৈরি এবং প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। ডিএফপি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর ইতোমধ্যে ৯টি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে চার বিভাগের (চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর ও খুলনা) আন্দোলনকেন্দ্রিক ঘটনাপ্রবাহের ওপর পৃথক চারটি প্রামাণ্যচিত্র। বাকি পাঁচটি প্রামাণ্যচিত্র হলো : ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’, ‘আঁধার পেরিয়ে’, ‘একটি স্বপ্নের জন্য’, ‘গণমুক্তি অনিবার্য’ এবং ‘লেখা আছে অশ্রু জলে’। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের পাশাপাশি ডিএফপি বেশকিছু প্রকাশনা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের ওপর অঙ্কিত গ্রাফিতি-বিষয়ক সচিত্র অ্যালবাম ‘৩৬ জুলাই : গ্রাফিতিতে বাংলাদেশ’-এর ১ম ও ২য় খণ্ড ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া, ডিএফপি গণঅভ্যুত্থানের ওপর নিয়মিত প্রকাশনা ‘সচিত্র বাংলাদেশ’, ‘নবারুণ’ ও ‘কোয়ার্টারলি বাংলাদেশ’-এর কয়েকটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক তথ্য প্রচারে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বিটিভিতে প্রচারিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, ‘ফ্যাসিবাদের দিনলিপি’, ‘আগামীর বাংলাদেশ’, ‘নিপীড়নের স্মৃতি’, ‘এই ত্যাগ রবে অম্লান’, ‘রক্তে ভেজা বাংলাদেশ’, ‘অদম্য তারুণ্য’, ‘দিয়েছে যে প্রাণ’ প্রভৃতি। এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের নিয়ে বিটিভি নিউজ-এ ৫০ পর্বের প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিটিভিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রামাণ্যচিত্র ধারাবাহিকভাবে প্রচারিত হচ্ছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বাংলাদেশ বেতারও বহুমুখী অনুষ্ঠান প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিত বিষয়ে বেতারে নিয়মিত কথিকা, আলোচনা, আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকার ও ফোন-ইন অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতারে রাষ্ট্র সংস্কার, তারুণ্যের শক্তি ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিষয়ে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, আলোচনা, উদ্দীপনামূলক গান ও নাটিকা প্রচারিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সংবাদসংস্থা (বাসস) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ এবং অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। ‘গণঅভ্যুত্থানের গাঁথা—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আত্মদানের গল্প’ শিরোনামে এসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাসস এ-সংক্রান্ত ৮৫৯টি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহের তথ্য নিয়ে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রতিষ্ঠা করেছে ‘জুলাই আর্কাইভ’। এই আর্কাইভে রয়েছে জাতীয় ও আঞ্চলিক মিলিয়ে ২৪টি পত্রিকার ডিজিটাইজড কপি, বিভিন্ন জেলা থেকে সংগৃহীত ১০ হাজারের বেশি গ্রাফিতির ফটো অ্যালবাম, আন্দোলনের আলোকচিত্র, গান ও কবিতার অ্যালবাম। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর কয়েকটি প্রকাশনাও বের করেছে পিআইবি। এছাড়া, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদ ছয় সাংবাদিকের স্মৃতিকে স্মরণীয় করতে পিআইবিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘শহিদ স্মৃতি কর্নার’। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে পিআইবি বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতারও আয়োজন করেছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহের তথ্য মাঠ পর্যায়ে প্রচারের ক্ষেত্রে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের অধীন জেলা তথ্য অফিসসমূহ জনবহুল স্থানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করছে। এছাড়া, উঠান বৈঠক, নারী সমাবেশ, আলোচনাসভা-সহ অন্যান্য প্রচারকৌশলের মাধ্যমেও জেলা তথ্য অফিসসমূহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করছে। এর পাশাপাশি আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের ভাবনাকে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিসসমূহ কিশোর-কিশোরীদের অংশগ্রহণে ‘আমার কিছু বলার আছে’- শীর্ষক মতবিনিময় সভা আয়োজন করছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ। ‘দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ’-শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহের ভিডিও সংগ্রহের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু করেছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ এপ্রিল, ২০২৫ থেকে জুন, ২০২৭ পর্যন্ত। গণঅভ্যুত্থানের ভিডিওসমূহ সংগ্রহ শেষে তা স্থায়ীভাবে ফিল্ম আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণ ও প্রচারের অংশ হিসেবে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে নিয়ে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট তিনটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে। এগুলো হলো—‘ছাদ আকাশের গল্প’, ‘পথ’ ও ‘জুলাইয়ের চিঠি’। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটও জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ছয়টি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে। এগুলো হলো—‘সময়ের বীর শহিদ তানভীর’, ‘জুলাই বিপ্লব : রক্তে লেখা নতুন ভোর’, ‘বিপ্লব সারথী শহিদ আহসান হাবীব’, ‘গণজাগরণ ’২৪ : পঞ্চগড়ের শাওন’, ‘Crimson Sorrow’ ও ‘শহিদ শাহারিয়ার খান আনাস’। এছাড়া, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে সরকারি অনুদানে দুইটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং আটটি শর্টফিল্ম ও স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র নির্মিত হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা। আগামী আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীর তথ্য ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এছাড়া, গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি আয়োজনেরও পরিকল্পনা রয়েছে। গৃহীত কর্মসূচির আওতায় ১লা জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রিকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর বিশেষ ফিচার, নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। সেই সঙ্গে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে ১লা জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী বিলবোর্ড স্থাপন, পোস্টার ও ফেস্টুন মুদ্রণ ও বিতরণ করা হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হবে। তথ্য ভবনে এই প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর রচিত গ্রন্থসমূহ এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে। গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।
মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কর্মসূচি অনুযায়ী, তথ্য ভবন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ও ঢাকাস্থ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারণকৃত আলোকচিত্র ও গ্রাফিতি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে অভ্যুত্থানে শহিদ সাংবাদিক পরিবারকে সম্মাননা, বিশেষ অনুদান ও উপহার প্রদান করা হবে। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ ও প্রচারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব শুধু প্রশাসনিক নয়, এটি জাতীয় কর্তব্যও বটে। আর্কাইভিং, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও প্রকাশনার মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস শুধু সংরক্ষিতই থাকবে না, তা হয়ে উঠবে গবেষণার অন্যতম উপকরণ। জুলাই গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক তথ্য প্রচারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বহুমুখী উদ্যোগ অভ্যুত্থানের চেতনাকে জনস্মৃতিকে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
লেখক :মো. মামুন অর রশিদ
বিসিএস তথ্য ক্যাডারের সদস্য এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা পদে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে কর্মরত
পিআইডি ফিচার