নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা রবিবার। সকাল ৯:০১। ৬ জুলাই, ২০২৫।

জোকা বিলে মাছের পোনা অবমুক্ত

মার্চ ২৮, ২০২৩ ৮:১২
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: রাজশাহীর বাগমারায় নতুন করে জোকা বিলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জোকা বিলে জমির মালিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। জোকা বিলে ধান চাষের জন্য ব্যবহার হচ্ছে ১২টি গভীর নলকূপ ও ৭টি শ্যালো মেশিন।

সম্মিলিত ভাবে সেই সকল গভীর নলকূপ, শ্যালো মেশিন এবং সাপলাই পানির ব্যয়ভার বহণ করে আসছে জমির মালিকরা। দীর্ঘ সময় ধরে লীজের মাধ্যমে জোকা বিলে মাছ চাষ করে আসছিল জমির মালিকরা। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নতুন করে লীজ না হওয়ায় গভীর নলকূপ, শ্যালো মেশিন ও সাপলাই পানির যাবতীয় খরচ বহন করছেন জমির মালিকরা। অর্থাৎ যাদের কাছে লীজ দেয়া ছিল তারাই বিনামূল্যে ধানের চাষ করে আসছে। সেই সাথে বাড়ি বাড়ি খাবার পানি সরবরাহ করা হয়ে আসছে।

আরও পড়ুনঃ  রাবিতে দরপত্র বাক্স খোলার আগেই ক্যালেন্ডার বিতরণ শেষ

৫টি গ্রামে ৫টি সাপলাই পানির ট্যাংকির মাধ্যমে হাজার হাজার লোকজনকে পানি সুবিধা প্রদান করছে মৎস্য চাষ প্রকল্প। উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নে জোকার বিল মৎস্য চাষ প্রকল্পের নামে মাছ করে আসছে তারা। সেই সকল জমির মালিকরা আবারও নতুন করে মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন। এদিকে সোমবার অন্য একটি পক্ষকে মাছ চাষের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।

জানা গেছে, তারা কৃষকদের অর্থাৎ জমির মলিকদের বিনামূল্যে ধানচাষ সহ সাপলাই পানির কোন ব্যবস্থা করে দেবে না। সেই সাথে ৬ হাজার টাকা বিঘা হিসেবে জমির মালিকদের টাকা দেবে। গুটি কয়েক ব্যক্তির নামে জোকা বিল দিতে রাজি না বলে জমির মালিকরা প্রতিবাদ সভা করেছেন। সেই সাথে জমির মালিকরা ব্যতীত বাহির থেকে কেউ এসে মাছ চাষ করতে পারবেনা বলেও জানিয়েছেন তারা।

আরও পড়ুনঃ  জুলাই গণঅভ্যূত্থান শহীদদেরা আমাদের প্রেরণা: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

এদিকে বাসুদেবপাড়া ঈদগাঁ চত্বরে হাট-মাধনগর, কাষ্টনাংলা, গোড়সার এবং পানিয়া গ্রামের লোকজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি প্রতিবাদ সভা করেছেন। হাট মাধনগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, নরদাশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জমির মালিক আহসান হাবিব, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল রশিদ, জমির মালিক জোনাব আলী, মুরাদ হোসেন, ইচাহাক আলী, হেলাল উদ্দীন, সিদ্দিক, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার ১৬

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, জোকা বিল নিয়ে কারো কোন খেলা চলবে না। মাছ চাষ করতে হলে জমির মালিকরা মিলে করবে। তা না হলে কোন মাছ চাষ করা যাবে না। কেউ মাছ চাষ করতে চাইলে জমির মালিকদের সাথে নিয়ে করতে হবে। জমির মালিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ সেবা শেষে জোকা বিলে নতুন ভাবে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা করেন। জমির মালিকদের প্রতিবছর ৭ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছে জমির মালিকরা।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।