নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা রবিবার। রাত ১১:৩৬। ৬ জুলাই, ২০২৫।

ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধ, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা ইলন মাস্কের

জুলাই ৬, ২০২৫ ২:০৬
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করছেন।

কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়ে পড়ার পর এই ঘোষণা দিলেন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এই ধনকুবের। রোববার (৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

শনিবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক জানান, তার নতুন দলের নাম “আমেরিকা পার্টি”, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত দুইদলীয় রাজনৈতিক কাঠামো রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

আরও পড়ুনঃ  বিএনপি’র ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাগমারায় মৎস্যজীবী দলের আলোচনা সভা

তবে এখনও পরিষ্কার নয়, এই দলটি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছে কি না। মাস্ক নিজেও দলের নেতৃত্ব বা কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

তিনি বলেন, “আমরা আসলে একদলীয় শাসনের মধ্যেই বাস করছি, যেখানে অপচয় আর দুর্নীতির মধ্য দিয়ে দেশকে দেউলিয়া করে দেওয়া হচ্ছে। আজ ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠিত হলো, আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে।”

মূলত ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি থেকেই দল গঠনের চিন্তা করেন মাস্ক। বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে বেরিয়ে আসার পর তার বাজেট পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেন মাস্ক। এবং এরপরই মাস্ক প্রথমবার নতুন দল গঠনের ইঙ্গিত দেন।

আরও পড়ুনঃ  এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

ট্রাম্পের সেই বিরোধের সময় মাস্ক এক জনমত জরিপ চালান, যাতে তিনি এক্স ব্যবহারকারীদের জিজ্ঞাসা করেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন কিনা। শনিবারের ঘোষণায় মাস্ক সেই জরিপের ফলের কথা উল্লেখ করে লেখেন, “২:১ ব্যবধানে মানুষ একটি নতুন রাজনৈতিক দল চায়। এবং তারা সেটা পেতে যাচ্ছে।”

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় মাস্ক ছিলেন ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক। তিনি ট্রাম্পকে পুনঃনির্বাচিত করতে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন। নির্বাচনের পর মাস্ককে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নতুন একটি বিভাগের — ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) — দায়িত্ব দেওয়া হয়, যার কাজ ছিল বাজেটে বড় ধরনের কাটছাঁট চিহ্নিত করা।

আরও পড়ুনঃ  আওয়ামী শাসনামলে তথাকথিত সুশীল সমাজ স্বৈরাচারের পদলেহন করেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

কিন্তু মে মাসে মাস্ক প্রশাসন ছেড়ে দেন এবং ট্রাম্পের ট্যাক্স ও ব্যয়ের পরিকল্পনার সমালোচনা শুরু করেন। ওই পরিকল্পনাটিকে ট্রাম্প “বিগ বিউটিফুল বিল” বলে উল্লেখ করেছেন, সম্প্রতি এটি কংগ্রেসে অল্প ব্যবধানে পাস হয় এবং ট্রাম্প এতে স্বাক্ষর করেন।

বিশাল এই আইনটিতে রয়েছে বিলিয়ন ডলারের ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি ও ট্যাক্স হ্রাস, যা আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।