তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে পূর্বশত্রুতার জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রক্তাক্ত জখম গুরুতর যুবককে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ওই যুবকের নাম মেরাজুল ইসলাম (২৯)। সে তানোর সদর গ্রামের আশরাফ চৌধুরীর পুত্র।
এঘটনায় ওই যুবকের মা রাজিয়া বেগম বাদি হয়ে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ, পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তানোর গোল্লা পাড়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে পায়ে হেঁটে ফিরছিলেন ওই যুবক। এসময় হঠাৎ পাড়া টিপটিপির ডাঙ্গা নামক স্থানে আসলে পরিকল্পনা ভাবে উৎপেতে থাকা তানোর কুঠি পাড়া গ্রামের মৃত ব্যাঙ্গার পুত্র ইদ্রিস আলী (৫০) তার ছেলে রহমত আলী (৩২) আনারুলের স্ত্রী হাসি (২৯) রহমতের স্ত্রী সাহিনা (২৬) বাশের লাঠি, লোহার রড় দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করে বেঁধে হত্যার হত্যর উদ্দেশ্যে ধারালো হাসুয়া ও ছুটি নিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মাথায় কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত আহত অবস্থায় ফেলে চলে যায়।
খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত যুবকের মাথায় ৪ টি ও বুকের ১২ টি এবং পিঠে ৫ টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ২ ই মে ও ১৪ ই মে দু দফায় ওই একই আসামীরা আহত যুবক মেরাজুলের স্ত্রী ও মাকে মারপিট করে ঘড়ের পালায় আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় যুবকের মা বাদি হয়ে রাজশাহীর আদারতে একটি মামলা দায়ের করেন। তানোর থানা পুলিশ ওই মামলার তদন্তে গেলে আসামী ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২০ শে জুন সন্ধ্যায় ওই যুবককে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে গুরতর ভাবে আহত করেন।
ওই ঘটনায় যুবকের পিতা আশরাফ চৌধুরী বাদি হয়ে ইদ্রিসসহ ৫ জনকে আসামী করে তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জামিনে এসে আসামীরা পুনরায় ওই যুবককে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আফজাল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।