সাইদ সাজু, তানোর : রাজশাহীর তানোরে বৃষ্টির পানিতে ভাসছে পৌর সভা দাখিল মাদ্রাসা। গত কয়েক দিনসহ সোমবারের ভারি বৃষ্টিতে মাদ্রাসার টিনের চালার ঘরগুলোতে বৃষ্টির পানি পড়ে ভেসে গেছে সব কয়টি ক্লাস রুম। এ পরিস্থিতিতে ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাসে বসে পড়াশোনা করতে পারছে না। অপর দিকে শিক্ষক শিক্ষিকারাও শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে পারছেন না। ফলে, ক্লাস হচ্ছেনা মাদ্রাসায়। সোমবার সরেজমিন তানোর পৌর সভা দাখিল মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় মাদ্রাসার টিনের চালার টিনগুলো মরিচায় খেয়ে ফেলেছে। ফলে, অসংখ্য স্থানের টিনে ছিদ্র ফুটো হয়ে যাওয়ার কারণে চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই সামান্য বৃষ্টিপাতে পানি পড়ে সবগুলো ক্লাসরুম পানিতে ভেসে যাচ্ছে। ফলে, ক্লাস হচ্ছে না মাদ্রাসায়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে মাটির দেয়ার ও টিনের চালা দিয়ে কয়েকটি ঘর নির্মান করে তানোর পৌর সভা দাখিল মাদ্রাসাটি স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর দীর্ঘদিন কোন সংস্কার করা হয়নি মাদ্রাসাটির। গত ১৭ বছর আ’ লীগ সরকারের আমলে ওই মাদ্রাসাটিকে বিএনপি ও জামায়াতের ট্যাগ দিয়ে সরকারী ভাবে কোন বরাদ্ধ দেয়া হয়নি। দীর্ঘদিন কোন ধরনের কোন উন্নয়ন বা সংস্কার না করায় মাদ্রাসার সব গুলো ঘরের টিন ফুটো হয়ে ঝাঝরা হয়ে গেছে। অপর দিকে মাদ্রাসায় শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেয়া নিয়ে ক্ষনে ক্ষনে মাদ্রাসার সুপারকে লাঞ্ছিত ও নির্যাতন করেছে আ’ লীগ দলীয় নেতাকর্মি ও সমর্থকরা। ফলে, উন্নয়ন করানতো দুরের কথা ধ্বংস করা হয়েছে মাদ্রাসাটিকে।
এলাকাবাসী ও শিক্ষক শিক্ষিকাসহ শিক্ষার্থীরা বলছেন, জরুরী ভিত্তিতে টিন গুলো ঠিক না করলে পানি পড়ে ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়ার পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে ক্লাস হবে না মাদ্রাসায়। ফলে, জরুরী ভিত্তিতে মাদ্রাসার ঘরের টিনের চালা গুলোর সংস্কার করা প্রয়োজন। এর জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। এব্যাপারে তানোর পৌর সভা দাখিল মাদ্রাসার নবনির্বাচিত সভাপতি তানোর উপজেলা ছাত্রদল সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডল বলেন, আমি সপ্তাহ খানেক আগে এই মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছি, জরাজীর্ণ মাদ্রাসার টিনের চালা টিক করতে সরকারী সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, মাদ্রাসাটিকে বিএনপি জামায়াত ট্যাগ দিয়ে কোর ধরনের সরকারী বরাদ্ধ দেয়া হয়নি বা কোন সংস্কার করা হয়নি। তিনি বরেন ঘরের টিন গুলো সংস্কারের জন্য তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে সংস্কার করা হবে।
তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত সালমান বলেন, আবেদন পেয়েছি, সরকারী বরাদ্ধ আসলে মাদ্রাসাটির সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।