নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা বুধবার। রাত ৩:১২। ৩০ জুলাই, ২০২৫।

তানোরে বেশীর ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই গ্রন্থাগার জ্ঞানার্জনে পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা

জুলাই ২৯, ২০২৫ ৪:৩৩
Link Copied!

তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর উপজেলার বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা হয়নি গ্রন্থাগার (লাইব্রেরী)। তবে, এই পদে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা অন্য বিষয়ে ক্লাশ নিচ্ছেন। স্কুলের গ্রন্থাগার না থাকায় বই পড়া এবং অন্যান্য শিক্ষা মূলক উপকরণ পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। একটি গ্রন্থাগার (লাইব্রেরী) শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জন, গবেষণা এবং শিক্ষা মূলক কার্যক্রমে সহায়তা করে থাকে। কিন্তু তানোর উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে গ্রন্থাগারের অভাবে শিক্ষার মানের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

তানোর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই নেই গ্রন্থাগার (লাইব্রেরী)। তবে, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে অল্প সামান্য বই দেখা গেছে প্রধান শিক্ষকের কক্ষের আলমারী ও সুকেচে। সেই বই গুলো পড়ার প্রতি আগ্রহ নেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে। পছন্দের বই না থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাশের বাইরের বই পড়ার পরিবর্তে মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্লাশের বইয়ের বাইরের বই পড়ার ইচ্ছে থাকলেও তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারার (লাইব্রেরী) না থাকায় এবং বই পাওয়া যায় না।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে একমাসে মৃত ৩০০ ও জীবিত ২৫০ সাপ উদ্ধার

প্রধান শিক্ষকরা বলছেন, সরকারী ভাবে গ্রন্থাগার লাইব্রেরী তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। স্কুলের সম্পদ ও অর্থ সংকটের কারনে স্কুলের পক্ষ থেকে গ্রন্থাগার লাইব্রেরী তৈরি করা সম্ভব হয়না। এ পদে নিয়োগ দেয়া শিক্ষকরা অন্য বিষয়ে ক্লাশ নিচ্ছেন। গ্রন্থাগার শিক্ষকরা বলছেন, গ্রন্থাগার (লাইব্রেরী হচ্ছে জ্ঞান এবং তথ্যের ভান্ডার। এখানে বিভিন্ন ধরণের বই, জার্নাল, এবং অন্যান্য উপকরণ থাকে যা পড়া শোনা এবং জ্ঞান বিকাশে শিক্ষার্থীদের সহায়ক।
সরকারী ভাবে গ্রন্থাগার (লাইব্রেরী) গড়ে তোলা না হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করা যাবে না।

সচেতন মহল বলছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান অর্জন ও গবেষণা করার জন্য গ্রন্থাগার (লাইব্রেরী) হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগার লাইব্রেরী গড়ে তোলা হলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি জ্ঞান আরও প্রসারিত করার সুযোগ পাবে এবং বই পড়া ও গবেষণায় আগ্রহ সৃষ্টি হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগার লইব্রেরী গড়ে তুলতে না পারলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হবে না। সরকারী ভাবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগার তৈরি করে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি না হলে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হবে।

আরও পড়ুনঃ  বাবার ওপর অভিমান করে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

শিক্ষক বকুল হোসেন বলেন, একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গ্রন্থাগারের অভাবে শিক্ষার মান কমে যাওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে। বই পড়ার পরিবর্তে শিক্ষার্থীরা হাতে তুলে নিচ্ছে মোবাইল ফোন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষা মূলক উপকরণ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন, গ্রন্থাগার হল শ্রেনী কক্ষের বাইরে শিক্ষার্থীদের শেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারী ভাবে গ্রন্থাগার লাইব্রেরী তৈরির দাবি জানিয়েছেন এই আদর্শ শিক্ষক।

তানোর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন সোহেল বলেন, একটি সুন্দর এবং সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করে। কিন্তু গ্রন্থাগার না থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ কমে যাচ্ছে। একটি ভালো গ্রন্থাগার শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন ও গবেষণার সুযোগ তৈরি করে এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়তা করে একই সাথে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা এবং কল্পনা শক্তির বিকাশ ঘটায়। এজন্যই স্কুলের গ্রন্থাগার থাকা খুবই জরুরি। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  রাবিতে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হতে এসে এক শিক্ষার্থী আটক

এব্যাপারে তানোর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তানোর উপজেলার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারী উদ্যোগে আলাদা ভাবে কোন গ্রন্থাগার ভবন নির্মান করা হয়নি। তবে, উপজেলার প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরকারী ভাবে বই সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, কিছু কিছু বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার রয়েছে এবং কিছু কিছু বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার না থাকায় গ্রন্থাগারিক শিক্ষকরা ক্লাশে সৃজনশীল বিষয়ে পাঠ দান করছেন বলেও জানান তিনি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।