সাইদ সাজু, তানোর : রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপির ৩ নং ওয়ার্ড সাবেক সদস্য এবং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বুলবুল আহম্মেদ সংসার চালাচ্ছেন পত্রিকার বিক্রি (হকারী) করে। গত ৭ বছর থেকে তিনি তার বাড়ি থেকে প্রতিদিন সকালে বাইসাইকেল চালিয়ে রাজশাহী শহরে গিয়ে পত্রিকা কিনে এনে সারাদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তানোর উপজেলার সদরসহ বিভিন্ন এলাকার পত্রিকা বিলি (বিক্রি) করেন। প্রতিদিন তাকে শত কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি দিতে হয় তাকে। তবে, সম্প্রতি তিনি তার রাজশাহীর পত্রিকার মহাজনের সহযোগিতায় বেটারী চালিত মোটরসাইকেল চালিয়ে পত্রিকা বিক্রি করছেন।
এলাকাবাসী ও তার গ্রামের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বুলবুল মেম্বার চান্দুড়িয়া ইউপির ৩ নং ওয়ার্ড (মেম্বার) সদস্য থাকাকালীন সময়ে জনগনের পাশে থেকে নিঃস্বার্থভাবে সেবা করে গেছেন বিপদে-বিপদে আমরা তাকে সব সময় পাশে পেয়েছি। কোন কাজে তাকে কোন দিন কোন টাকা দিতে হয়নি। নিরহংকার সহজ সরল প্রকৃতির মানুষটি মেম্বারের দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় তাকে আমরা দেখেছি নিজের জমি বিক্রি করে জনগণের সেবা করতে। তিনি চাইলে অনেক টাকা পয়সার মালিক হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি তিনি এখন পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। তার মত মানুষকে সদস্য হিসেবে বড্ড প্রয়োজন।
এবিষয়ে বুলবুল আহমেদ বলেন, আমি ২০০৩ সালে বিপুল ভোটে চান্দুড়িয়া ইউপির ৩নং ওয়ার্ড সদস্য নির্বাচিত হয়ে একটানা ৯ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। ১৫ বছর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। আ’ লীগের আমলে লড়াই সংগ্রামে সামনে থেকে দলের নেতৃত্ব দিয়েছি। আ’ লীগের নেতাদের হামলা মামলা স্বীকার হয়েছি অনেকবার। কিন্তু এখনো নিজের এবং দলের আদর্শ বুকে ধারন করি। আমার সততার কারণে জনগণ আমার পাশে ছিল বলেই আমি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম। কিন্তু সংসারের অভাব অনটনের কারণে বাধ্য হয়ে ২০১৮ সাল থেকে পত্রিকা বিক্রির হকারী শুরু করে ৩ কন্যারই বিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপির ৩ নং ওয়ার্ডের দেওতলা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র বুলবুল আহমেদ ছোট বেলা থেকেই ছিলেন পরউপকারী মানুষ। জনগনের ইচ্ছেতেই ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত চয়েছিলেন তিনি। এর আগে ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে প্রবেশ করে যুবদল হয়ে ১৫ বছর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১২ সালে জনগনের চাপে আবারো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপির রাজনীতিতে সক্রীয় ভূমিকার কারনে তার ভোট জোর পূর্বক কেড়ে নিয়ে তাকে পরাজিত করা হয়েছিরো বলে দাবি করেন তিনিমহ তার সমর্থকরা। নির্বাচনে আর অংশ নিবেন না বলেও জানান তিনি।