সাইদ সাজু, তানোর: রাজশাহীর তানোরে হাঁস পালন করে সিজিনে লাখ টাকা আয় করেন তানোর উপজেলা সালামপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান (২৪)। পেশায় কৃষক হাফিজুর রহমান ৬ মাস হাঁস পালন করেন। গত ৮ বছর ধরে তিনি সিজিনিয়ালী হাঁস পালন করে আসছেন। বর্তমানে তার খামারে ৩শ’ ২০ টি হাঁস রয়েছে। এসব হাঁস থেকে প্রতিদিন ১শ’ ৮০ থেকে ১শ’ ৯০ ডিম পাচ্ছেন তিনি। এসব ডিম বিক্রি করে প্রতিদিন আড়াই হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায়। মুরগির চেয়ে পরিশ্রম ও খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় হাঁস পালনে যুবকদের আগ্রহ বাড়ছে। ফলে, তানোর বিল কুমারী বিলসহ বিভিন্ন এলাকায় এমন হাঁস পালন দেখা যাচ্ছে। দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হাঁস পালন।
শনিবার বিকালে তানোর মুন্ডমালা সড়কের পাঁচপির নামক স্থানের রাস্তার ধারে জমিতে হাস চরাই করার সময় কথা হয় হাঁসের মালিক হাফিজুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, হাস লালন পালনে মাসিক বেতনে ১ ছেলে হাঁসগুলো দেখভাল করে। বর্তমানে খামারে ৩শ’ ২০ টি হাঁস রয়েছে। এসব হাঁসের জন্য প্রতিদিন ১ হাজার টাকার ধান লাগে।
আর প্রতিদিন এসব হাঁস থেকে ১শ’ ৮০ টা থেকে ১শ’ ৯০ টা পর্যন্ত ডিম পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিন ডিম বিক্রি করে আড়াই হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। সব খরচ বাদ দিয়ে ৬ মাসের সিজিনে লাখ টাকারও বেশি লাভ হয়।
তিনি বলেন, গত ৮ বছর ধরে হাঁস লালন পালন করছি। ডিম দেয়ার উপযোগী হয়ে উঠলে পার্শ্বের গ্রামের জৈনক ব্যক্তির কাছ থেকে কিনে নিয়ে ৬ মাস পর্যন্ত পালন করে বিক্রি করে দিই। ৬মাস পর্যন্ত এই হাঁস গুলো ডিম দিবে। ডিম দেয়া শেষ হলে হাঁস গুলো বিক্রি করে দিবো। ৬ মাসে সকল খরচ বাদে লাখ টাকারও বেশী আয় হয়। তিনি বলেন, গত ১ মাস থেকে এসব হাঁস ডিম দিচ্ছে।আরো ৫ মাস ডিম দিবে, ডিম দেয়া শেষ হলে বিক্রি করে দেয়া হবে। তিনি বলেন হাঁস গুলো খামার রাকার পাশাপাশি মাঠে ও জমিতেও নেয়া হয়।
তিনি বলেন, ৮ বছর আগে শখের বসে হাঁস পালন করে লাভবান হই। তার পর থেকেই প্রতিবছর ৬ মাসের জন্য হাঁস পালন করি। সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রতিবছর ৬ মাসের সিজিনে লাখ টাকারও বেশি লাভ হয়। তিনি বলেন, হাুস পালনে মুরগির চেয়ে পরিশ্রম ও খরচ কম এবং লাভ বেশি। বর্তমানে বাজারে তার ৩শ’ ২০ টি হাঁসের প্রতিটির দাম ৫শ’ টাকা থেকে সাড়ে ৫ শ’ টাকা। ডিম দেয়া শেষ হলে হাঁস গুলো বিক্রি করে দিবেন বলেও জানান তিনি। ৬ মাস পালন করা হাঁসের ডিম বিক্রি করেই লাখ টাকারও বেশী লাভ হাফিজুরের।