নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা সোমবার। রাত ৮:২২। ২১ জুলাই, ২০২৫।

তানোরে হাট বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বয়াল মাছের বাচ্চাসহ রেনু পোনা

জুলাই ২১, ২০২৫ ৩:০১
Link Copied!

সাইদ সাজু, তানোর : রাজশাহীর তানোরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বয়াল মাছের ছোট ছোট বাচ্চাসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির খুচরা মাছের রেনু পোনা। তানোর বিল কুমারী বিল থেকে অবৈধ চায়না রিং জাল দিয়ে এসব মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করছেন বিল কুমারী বিলের ধারের আশ পাশের গ্রামের জেলেরা। অভাবের তাড়নায় বিলে যে মাছই পাচ্ছেন তা বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন জেলেরা।

তানোর উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে রিং জাল জব্দ ও জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছে না এসব অবৈধ চায়না রিং জালের ব্যবহার ও দেশীয় খুচরা মাছের রেনু পোনা স্বীকার। ফলে, দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির খুচরা মাছ। তানোর বিল কুমারী বিল থেকে হারিয়ে গেছে বেশ কিছু প্রজাতির দেশীয় খুচরা মাছ। যে গুলো আছে তাও বিলুপ্তির পথে বলেও জানান অনেক জেলে।

আরও পড়ুনঃ  প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে ৩০ পুলিশ সদস্যের প্রশিক্ষণ

সচেতন মহল বলছেন, জেলে পরিবার গুলোর মধ্যে জন সচেতনতা সৃষ্টি করতে না পারলে এসব রিং জালের ব্যবহার ও দেশীয় খুচরা মাছের রেনু পোনা স্বীকার বন্ধ করা যাবে না। এর জন্য নিয়মিত প্রচার প্রচারনা, উঠান বৈঠক ও সভা সেমিনার করে জেলে মাঝে সচেতনা সৃষ্টি করতে হবে। নয়তো বন্ধ করা যাবেনা এসব রিং জালের ব্যবহার ও দেশীয় খুচরা মাছের রেনু পোনা স্বীকার।

জেলেরা বলছেন, খরা মৌসুমে তানোর বিল কুমারী বিল শুকিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় খুচরা মাছ এখন এখন আর তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, এখনো অনেক প্রজাতির দেশীয় খুচরা মাছ এখনো পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু অনেকেই অবৈধ চায়না রিং জাল দিয়ে দেশীয় খুচরা মাছের পোনাও ধরে নিচ্ছেন। ফলে, বিলুপ্ত হতে চলেছে এসব দেশীয় খুচরা মাছ।

আরও পড়ুনঃ  ৯৬ পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল: ইসি

সচেতন জেলেরা বলছেন, বর্ষার শুরুতেই উপজেলা জুড়ে এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা চায়না দুই দুয়ারি জাল দিয়ে অবাধে ডিমওয়ালা মাছসহ নিধন করছে মাছের পোনা। নিষেধ করতে গেলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ ও মারামারির মত ঘটনাও ঘটছে। এভাবে পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ নিধনের কারণে দিন দিন কমে যাচ্ছে দেশীয় মাছের উৎপাদন। এসব অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই অভিযান পরিচালনার দাবি তাদের।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চায়না দুই দুয়ারি জালসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে এলাকার পেশাদার ও মৌসুমি জেলেরা অবাধে দেশীয় মাছের পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ শিকার করছেন। এমন কোনো মাছ নেই যা এইসব জালে ধরা পড়ে না। যেখানেই একটু পানি জমেছে সেখানেই এইসব জালের ব্যবহার করা হচ্ছে প্রকাশ্যেই। এসব জালে ধরা পড়ছে ব্যাঙ, ঝিনুক, শামুক, পোকামাকড়ও। এসব জালের ব্যবহার বন্ধ করা না হলে মাছের বিভিন্ন প্রজাতিসহ সব ধরনের জলজপ্রাণী হুমকির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুনঃ  কদমতলীতে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

তানোর উপজেলা মৎস্য অফিসার বাবুল হোসেন বলেন, দেশীয মাছ রক্ষায় প্রায়ই অভিযান চালানোর পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টি জন্য সবা সেমিনারও করা হচ্ছে তারপরও গোপনে কিচ্ছু মৎস্য জীবি এসব অবৈধ চায়না রিং জাল দিয়ে দেশীয় খুচরা মাছ ধরছেন। তবে, আগামী ২২জুলাই থেকে মৎস্য সপ্তাহ শুরু হবে। মৎস্য জীবিদের সচেতন করতে এবং অবৈধ চায়না রিং জাল বন্ধে জরালো ভাবে অভিযান চালানো হবে বলেও জানান তিনি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।