নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা বুধবার। রাত ২:২৫। ২ জুলাই, ২০২৫।

তানোর থানার পাশের ঠাকুর পুকুর মাদকে ভরপুর

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩ ৭:০৬
Link Copied!

রাজশাহী,তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোর পৌরসভার আলোচিত মহল্লা ঠাকুর পুকুর মাদকে ভরপর বলে অভিযোগ উঠেছে। এখানে এক পরিবারের সাত জন ও অপর পরিবারের তিন জন প্রকাশ্যে মাদকের বেচাকেনা করছে। এসব দেখে মনে হয় এদের কাছে প্রশাসন ঠুটোঁ জগন্নাথ।

জানা গেছে, ঝাঁক্কি, বাটালু, ইয়াবা, হেরোইন, ডক্সিক্যাপ, হুঁক্কী ও মণিপুরি চটাগাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতায় রীতিমতো মাদকে ভাসছে ঠাকুর পুকুর। কখনো কখনো দাদার দেশের জলও (ফেনসিডিল) পাওয়া যায়। হাত বাড়ালেই মেলে মাদক, যে কারণে মাদকাসক্তদের তৎপরতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে ছিঁচকে চোরের উপদ্রব। এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাটো চুরির ঘটনা ঘটছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অভিযান অব্যাহত থাকলেও বন্ধ হচ্ছে না ঠাকুর পুকুরের মাদকের হাট।এসব হাটের ক্রেতা হচ্ছে এলাকার উঠতি বয়সের তরুণ-যুবক। তারা মাদকের অর্থের যোগান দিতে জড়িয়ে পড়ছে চুরি,
ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডে। যে কারণে এলাকায় বাড়ছে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ড। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে মাদকের বেচাকেনা করছে কারবারিরা। তাদের পরিবারের নারী-পুরুষের পাশাপাশি ছেলেমেয়েরাও মাদক কারবারির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।

আরও পড়ুনঃ  বাগমারার গোবিন্দপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ সভা

স্থানীয়রা জানান, মাদক সম্রাট জনৈক হক সাহেব, ফকির সাহেব, আকরাম আলী ও সম্রাজ্ঞী জনৈক শরিফার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ মাদক সিন্ডিকেট চক্র। আর পাহারার দায়িত্ব পালন করেন দালাল দুলাল হোসেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ইতোমধ্যে একাধিকবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির মাসিক সভায় ঠাকুর পুকুরে মাদক বিক্রি বন্ধের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এখানো বন্ধ হয়নি মাদকের হাট। উপজেলা ক্যাম্পাস থেকে ৫০০ গজ ও থানা থেকে মাত্র ২০০ গজ দুরে ঠাকুর পুকুর মহল্লায় চলছে রমরমা মাদক বাণিজ্যে।

আরও পড়ুনঃ  পাবনায় নদীতে ডুবে মারা গেল চাচাতো ভাই-বোনের

সচেতন মহলের ভাষ্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ঠাকুর পুকুর মহল্লায় মাদকের হাট বন্ধ করতে পারছেন না, না কি করছেন না ? আসলে এদের খুঁটির জোর কোথায় ? না কি রাষ্ট্রিয় বাহিনী র‌্যাব, পুলিশ, ডিবি পুলিশ ইত্যাদি সংস্থার থেকেও এরা বেশী ক্ষমতাধর। যদি সেটা না হয় তাহলে তারা কেন বার বার অভিযান চালিয়েও মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তানোর পৌরবাসীর দাবি, ঠাকুর পুকুর মহল্লায় মাদকের হাট বন্ধ হোক। প্রয়োজনে প্রতিদিন সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান দেয়া হোক।

আরও পড়ুনঃ  বাগমারায় আইন শৃঙ্খলা ও উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

এ বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, তিনি যোগদানের পর একাধিক মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং মামলা দেয়া হয়েছে। এতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ হয়েছে মাদকের কারবার। তিনি বলেন, আশা করছি অভিযান অব্যাহত থাকলে মাদক নির্মুল হবেই, ঠাকুর পুকুর মহল্লা তাদের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। মাদকবিরোধী অভিযানে তিনি সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন।#

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।