অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনিদের মাধ্যমে গাজা উপত্যকার নিরাপত্তা নিশ্চিত ও প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য বৈঠকের আয়োজন করতে যাচ্ছে তুরস্ক। শিগগিরই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান একটি বৈঠকের আয়োজন করবেন। মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে সোমবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
রোববার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ওই বৈঠকে কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেবেন।
মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্র বলেছে, বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতি দীর্ঘস্থায়ী শান্তিতে যাতে রূপ নিতে পারে, সেজন্য মুসলিম দেশগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপের গুরুত্ব তুলে ধরবেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক বৈঠকেও অংশ নিয়েছিল ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজার যুদ্ধবিরতিতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নিরস্ত্রীকরণ ও গাজা থেকে ইসরায়েলের সৈন্য প্রত্যাহারের সময়সূচির মতো জটিল বিষয়গুলো অমীমাংসিত থেকে গেছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও গাজায় প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবসানের অজুহাত খুঁজছে এবং ইসরায়েলের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শক্ত অবস্থান গ্রহণের বিষয়ে বৈঠকে কথা বলবেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। গাজায় প্রবেশ করা মানবিক সহায়তা একেবারেই অপর্যাপ্ত এবং ইসরায়েল এ বিষয়ে তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি; সেটিও দেশগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেবেন তিনি।
গাজার যুদ্ধ চলাকালে তুরস্ক ও ইসরায়েলের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে নেমেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
হামাসকে ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় রাজি করানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তুরস্ক। দেশটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন ও তদারকির জন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক বাহিনীতে অংশ নেওয়ার আগ্রহও জানিয়েছে।
তবে গত সোমবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী যুদ্ধ শেষের পর গাজায় তুর্কি সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতি ইসরায়েল কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
সূত্র: রয়টার্স।

