নাটোর প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণ ‘দাঁড়িপাল্লায় নীরবে ভোট দিয়ে’ এক নীরব বিপ্লব ঘটাবে। সম্প্রতি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের নিরঙ্কুশ বিজয় সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা জামায়াত আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই সভার আয়োজন করা হয়।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আগামী সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করার দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদের বাস্তবায়ন এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি। আমরা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চাই; তবে তার আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হাকিম।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির ড. মীর নুরুল ইসলাম, নায়েবে আমির অধ্যাপক ইউনুস আলী ও অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসাইন খান, জেলা সেক্রেটারি সাদেকুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি আতিকুল ইসলাম রাসেল, শুরা সদস্য আব্দুল খালেক এবং উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা হাসানুল বান্না উজ্জ্বল প্রমুখ।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান তাঁর বক্তব্যে পিআর পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের দাবি। কালো টাকা, সন্ত্রাস, ব্যালট বাক্স ছিনতাই প্রতিরোধে এবং সবার ভোটের মূল্যায়নের জন্য পিআর পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে আমরা রাজা হব না, আমরা দেশের নাগরিকদের সেবক হয়ে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ে তুলব। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে পারলে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে, তখন আর এ দেশের মানুষকে বিশ্বের কোথাও গিয়ে ভিক্ষা করতে হবে না।’