অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আগে একটি দল চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী পাহারা দিত। সেই সিস্টেম ও চাঁদাবাজি এখন আরেকটি দল টিকিয়ে রাখছে। আমরা স্পষ্ট বলেছিলাম, শুধু শেখ হাসিনার পতন নয়, এই দুর্নীতি ও মাফিয়ার পতন চেয়েছি।’
সোমবার (১৪ জুলাই) বেলা দুইটার দিকে পটুয়াখালী শহরের সার্কিট হাউস চত্বরে আয়োজিত এনসিপির পথসভায় নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে পথযাত্রা শহরের অধিকাংশ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদ শাহিন, পটুয়াখালী জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমরা এখন নেমেছি। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সিস্টেমের পতন ঘটাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই সিস্টেম কখনোই চায় না, আমরা এককভাবে দাঁড়াই, কোনোভাবে রাজনৈতিক মাঠে টিকে থাকি। সেই গণ-অভ্যুত্থানের সময় থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলমান।’
এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মুজিববাদ একটি বিভাজন তৈরি করে রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে দেয়নি। এখন এই মুজিববাদের নতুন পাহারা দেওয়ার জন্য একটি দল আবির্ভূত হয়েছে। সেই মুজিববাদের পাহারাদারকে প্রতিহত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে। আমরা কোনো অনৈক্য চাই না। কিন্তু কেউ যদি গণ–অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাহলে তাদের সঙ্গে কোনোমতেই ঐক্য সম্ভব নয়।’
পথসভায় মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে দেখা হবে। গত বছরের ৩ আগস্ট যেই জায়গা থেকে হাসিনা পতনের ইশতেহার রচিত হয়েছিল, সেই শহীদ মিনারে আমরা আবার একত্র হব। গত বছরের ৩ আগস্ট ছিল হাসিনা পতনের ইশতেহার। এ বছরের ৩ আগস্ট হবে স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ইশতেহার। আমাদের পরবর্তী যুদ্ধটা আরও বেশি কঠিন। বাধা দিলে বাধবে লড়াই, এই লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে।’
গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে নাহিদ ইসলাম দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে পটুয়াখালীতে পৌঁছান। এরপর তাঁরা পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে রাত যাপন করেন।-ইত্তেফাক