অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিরাপত্তা জোরদার করার অংশ হিসেবে দুজন আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে সন্দেহজনক আচরণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুক লাইভ করায় তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, তল্লাশির পর আটক ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা আওয়ামী লীগের সদস্য। নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন এবং সম্ভাব্য নাশকতার আশঙ্কায় তাদের প্রাথমিকভাবে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশের দাবি, আটক দুই ব্যক্তি ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় লাইভ সম্প্রচার করছিলেন, যা নিরাপত্তাজনিত কারণে সন্দেহজনক হিসেবে ধরা হয়। ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জিসানুল হক বলেন, “কেউ যেন কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা বা নাশকতা করতে না পারে, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। পর্যাপ্ত অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।”
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ধানমন্ডি ৩২-এর প্রধান প্রবেশপথে ব্যারিকেড বসানো হয়। যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল সীমিত করে কেবল অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তল্লাশি ছাড়া কাউকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে সন্ধ্যায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে একদফা বিক্ষোভ মিছিল বের হয়, যা পুলিশের উপস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিত থাকে।
১৫ আগস্ট সামনে রেখে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, আনসার ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ যাতে অনধিকারভাবে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য এলাকাটির প্রবেশপথে কড়া তল্লাশি চলছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন বা বিতর্কিত সংগঠনের কেউ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে প্রবেশ করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে এলাকা জুড়ে এপিসি কার, রায়ট কারসহ আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র এবং প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় গত ১৩ আগস্ট ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২-এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তবে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যে উঠে এসেছে যে, ১ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত কিছু দলীয় কর্মী দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় নিরাপত্তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সম্প্রতি বলেন, “১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে যারা অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করবে, বিশেষ করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্যদের যদি কোনো ধরনের নাশকতায় পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।”-ইত্তেফাক