নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায় স্কুলছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি এবং পরবর্তীতে হত্যা করে মরদেহ গুম করার ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড এবং দুই শিশু আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় প্রদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি অ্যাড. রেজাইল করিম।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বদলগাছি উপজেলার খাদাইল গ্রামের মরিফুল ইসলামের স্ত্রী পিংকি এবং আযম মন্ডলের ছেলে মিশু। যাবজ্জীবন আটকাদেশ প্রাপ্ত শিশু আসামিরা একই গ্রামের।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আসামিরা স্কুলছাত্র নাজমুলকে টার্গেট করে। একটি দল গঠন করে এবং ছদ্মনাম ব্যবহার করে খাদাইল গ্রামের আল আমিন হোসেন ছেলে নাজমুলকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। গত ২০২০ সালে ৬ নভেম্বর আসামি পিংকি ছদ্মনাম ব্যবহার করে দেখা করার জন্য নাজমুলকে মোবাইল ফোনে প্রথমে নারিকেল বাড়ি রোডে ডেকে নেয়। সেখান থেকে তাকে পরে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার কেসের মোড় রেললাইনে ডেকে নেয়।
পরদিন ৭ নভেম্বর সকাল ১০টায় নাজমুলের মোবাইল ফোন থেকে তার বাবার কাছে মোবাইল ফোনকল করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে আসামিরা নাজমুলকে হত্যা করে বস্তায় ভরে আক্কেলপুর রেল গেটের উত্তর পাশে ডোবার মধ্যে ফেলে রাখে।
এরপর নাজমুলের বাবা বদলগাছি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। প্রদত্ত সাজা ছাড়াও আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. সাইদ হোসেন।