স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার অন্তর্ভুক্ত চারখুটার মোড়ে রমরমা জুয়ার আসর চলছে। সম্প্রতি সময়ে জুয়ার আসরটি বসায় স্থানীয় দুই মাদক ব্যবসায়ী সহ কয়েকজন মিলে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় মিঠু, রকি, শাহ আলম আকিবুরের নেতৃত্ব জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। রকি ও আকিবুরের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। চারখুটার মোড়ের স্থানীয় লোকজন জানান গত প্রায় ৩ মাস থেকে জুয়ার আসরটি চলছে। প্রতিদিন রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জুয়া খেলতে লোকজন আসছে, এমনকি প্রতিরাতে কাশিয়াডাংগা থানার টহল পুলিশ জুয়ার আসর থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে এই জুয়ার আসর নিয়ে অভিযোগ উঠলে জুয়ার আসরের ঘরটি পরিবর্তন করে পাশেই আরেকটি ঘরে জুয়ার আসর বসায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোড়ের একজন দোকানী বলেন “জুয়ার বোর্ড চলছে মোড়ে এটা দেখে আমাদেরকে অনেক বিব্রত হতে হয়, মোড়ে অনেক মুরুব্বিরা এশার নামাজ আদায় করে বসতো এখন আর তেমন বসে না জুয়া খেলতে আসা জুয়ারীরা বিভিন্ন অশোভন আচরণ করে। তিনি পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জুয়ার বোর্ডটি বন্ধ করার অনুরোধ জানান প্রতিবেদককে।
এবিষয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, “জুয়ার আসরের বিষয়টি আমি জানতাম না, আমি অবশ্যই এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরও বলেন আমি কোন অন্যায়ের সাথে সম্পৃক্ত থাকিনা আমি চাই আমার থানার সকল অফিসার ও সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করুক। ”
এবিষয়ে আরএমপির মুখপাত্র মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ইবনে রহমান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) বলেন “জুয়ার বোর্ড চালানোর কোন সুযোগ নাই সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হবে থানা অবশ্যই এর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিবে এছাড়া থানার কেউ এদের পক্ষে নম্রতা দেখায় তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জুয়া চলে কাশিয়াডাঙ্গা থানা এলাকায়। প্রতি রাতেই বসছে রমরমা জুয়ার আসর। কিছু জুয়ার আসরে বসেন নিম্ন আয়ের মানুষ, আর কিছু আসরে বসেন বড় ব্যবসায়ী, ঠিকাদার এমনকি সরকারি চাকরিজীবীরাও। সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা-পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করেই এসব জুয়ার আসরগুলো পরিচালনা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।