নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: সারাদেশে গতকাল এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার বিগত বছরের তুলনায় ফলাফল হতাশাজনক । কমেছে পাস ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা। নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায়ও এর বত্যয় হয়নি। উপজেলার সব কলেজেই ফলাফল খারাপ হয়েছে। এর মধ্যে একটি কলেজ থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। ৫ কলেজে পাসের চেয়ে ফেলের হার বেশি।
উপজেলা মাধ্যমিক অফিস হতে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, উপজেলায় এবার এইচএসসিতে পাসের হার ৫৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৭৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ জন। যা গতবছর ছিল ১৩২ জন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ৯০ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৫৮৩ জন। ফেল করেছে ৫০৭ জন। আটটি কলেজের মধ্যে পাঁচটি কলেজে পাসের চাইতে ফেলের হার বেশি।
ফলাফলে দেখা গেছে, উপজেলায় সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে সাংশৈল আদিবাসী স্কুল এন্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানের ২২ জন পরীক্ষার্থীর কেউ পাস করতে পারেনি। রাজাপুর বটতলী হাট মহাবিদ্যালয়ে ২১ জনে ১৮ জন ফেল। গাংগোর স্কুল এন্ড কলেজের ১০ জন পরীক্ষার্থীর ৮ জনই ফেল করেছে। বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রী কলেজে ১০২ জনের মধ্যে ৬৫ জন ফেল। বামইন স্কুল এন্ড কলেজে ৭৫ জনের মধ্যে ফেল করেছে ৪৩ জন।
উপজেলায় একমাত্র সরকারি কলেজ নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের মোট পরীক্ষার্থী ৬৯৭ জন অংশগ্রহণ করে ৬৮৯ জন। পাস করেছে ৩৮৭ জন আর ফেল করেছে ৩০২ জন।
কলেজটির বাণিজ্য বিভাগে ৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩১ জনই ফেল করেছে। বিজ্ঞান বিভাগে পাস ১৪৭ জন, ফেল ৭৯ জন। মানবিক বিভাগে পাস ২৩৮ জন, ফেল ২০০ জন। তবে সবচেয়ে বেশি ২০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে এই প্রতিষ্ঠান থেকে।
অন্যদিকে উপজেলায় পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে চন্দননগর কলেজ। পাসের হার ৭২ দশমিক ০৯ শতাংশ। কলেজটিতে ১২৯ জনে পাস করেছে ৯৩ জন, ফেল করেছে ৩৬ জন। জিপিএ- ৫ পেয়েছে চারজন।
নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ওবাইদুল হক চৌধুরী বলেন,’কলেজে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক সংকট রয়েছে। এই শিক্ষক সংকটের মধ্যেও ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসবিমুখ হয়েছে। তাঁদের ক্লাসমুখী করতে অভিভাবকদের বিষয়টি জানিয়েও আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি।’
চন্দননগর কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার কলেজের সব শিক্ষকেরা সর্বোচ্চটা দিয়ে শিক্ষার্থীদের শেখানোর চেষ্টা করি। কলেজে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস করতে হবে, পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হতে হবে। অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।’
সাংশৈল আদিবাসী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।