অনলাইন ডেস্ক : নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালে মো. হাবিব নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকেই।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। তবে সংঘর্ষ থামলেও এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সংঘর্ষের ঘটনায় বর্তমানে নীলফামারী-সৈয়দপুর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
নিহত হাবিব ‘ভেনচুরা লেদার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে’ কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানান, উত্তরা ইপিজেডে অবস্থিত ‘এভারগ্ৰীন’ নামে একটি কোম্পানিতে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে দুই দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন ইপিজেডের শ্রমিকেরা। সোমবার রাতে হঠাৎ করে কোম্পানি বন্ধের নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ শ্রমিক মঙ্গলবার সকালে ইপিজেডের মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে শ্রমিকরা। দফায় দফায় সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এক পর্যায়ে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকেরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এসময় নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে সব যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক তানজিরুল ইসলাম ফারহান গণমাধ্যমকে জানান, মৃত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকে একটু ক্ষত ছিল। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ছাড়া বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। এ ছাড়া হাসপাতালে আহত অবস্থায় আরও ৫ শ্রমিক চিকিৎসাধীন।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, এভারগ্রীন কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিশে জানিয়েছে, টানা আন্দোলনে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯-এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী ২ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী নোটিশে পুনরায় চালুর কথা জানানো হবে।