অনলাইন ডেস্ক : নেপালে ‘জেনারেশন জেড’ তরুণদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেছেন এবং সরকারের পতন ঘটেছে।
তবে এসব ঘটনায় শিরোনাম হয়েছেন নেপালের অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু প্রসাদ পৌডেলও। রাজধানী কাঠমান্ডুর রাস্তায় বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁকে ধাওয়া করে এবং লাথি-ঘুষি মারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ৬৫ বছর বয়সী পৌডেল দৌড়ে পালাচ্ছেন, আর পেছনে শত শত মানুষ তাঁকে ধাওয়া করছে। একপর্যায়ে এক তরুণ বিক্ষোভকারী সামনে থেকে এসে লাফিয়ে তাঁকে লাথি মারেন। এতে তিনি একটি লাল দেয়ালে ধাক্কা খান। কিছুক্ষণ পর তিনি আবার উঠে দৌড়াতে শুরু করেন। ভিডিওটি সেখানেই শেষ হয়।
এ ছাড়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পৌডেলকে ততক্ষণে দিগম্বর করে ফেলেছে বিক্ষুব্ধরা। তারা পৌডেলকে চ্যাংদোলা করে একটি নদীর পাড়ে নিয়ে যায় এবং তাঁকে নদীতে নিক্ষেপ করে। নদীতে নেমেও তাঁকে হাঁটুপানিতে কিল-ঘুষি মারছেন কয়েকজন—এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
নিবন্ধন না করার অভিযোগে নেপাল সরকার ফেসবুক, ইউটিউব, এক্সসহ দুই ডজনের বেশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দিলে দেশটির ক্ষুব্ধ তরুণেরা রাজপথে নেমে আসেন। এরপর এই আন্দোলন শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পুনরুদ্ধারের দাবিতেই সীমিত থাকেনি। সরকারের দুর্নীতি, অদক্ষতা ও দমননীতির বিরুদ্ধেও তীব্র স্লোগান ওঠে। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালালে অন্তত ২২ জনের প্রাণহানি ঘটে বলে খবর পাওয়া গেছে। আহত হন অসংখ্য মানুষ। হতাহতের এই ঘটনায় বিক্ষোভ আরও উসকে ওঠে।
প্রচণ্ড বিক্ষোভের মুখে সোমবারই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতি আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি সরকার।