অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করার পরও পরিস্থিতি খারাপ থাকায় নেপালের সার্বিক নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে সেনারা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরপর বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট, অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আগুন দেন। দিন গড়িয়ে রাত আসলেও এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
এমন অবস্থায় রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন নেপালের সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল। ওই সময় তিনি বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন ত্যাগ করার আহ্বান জানান।
সেনাপ্রধানের ভাষণের পর দেশটির সেনাবাহিনী আলাদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত ১০টার পর সেনাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর বিভিন্ন মন্ত্রীদের বাসায় হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দিউবার ও তার স্ত্রীকে মারধর করেন। এতে শের বাহাদুর গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে তাকে সেনাবাহিনী এসে উদ্ধার করে। বিক্ষোভকারীরা আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝালনাথ খানালের বাড়িতেও হামলা করেন। তারা ঝালনাথের বাড়িতে আগুন দেন। ওই সময় বাড়ির ভেতর ছিলেন তার স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকর। তিনি আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত হন।
রাজধানী কাঠমান্ডুর পরিস্থিতি সকাল থেকে খারাপ হতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর সেখানে আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। এমন পরিস্থিতি সেনাবাহিনী নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট