নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ মঙ্গলবার। রাত ১১:৪৯। ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

নেপালে গণমাধ্যমের অফিসে ভাঙচুর-আগুন

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫ ৬:৪৯
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : নেপালে জেন-জি নেতৃত্বাধীন সরকার-বিরোধী আন্দোলন ব্যাপক সহিংস আকার ধারণ করেছে। মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগের পর আন্দোলনকারীরা পুরো সরকারের পতনের দাবিতে রাজপথে অবস্থান নিয়েছেন।

এ সময় দেশটির সংসদ ভবন, সুপ্রিম কোর্ট, প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টের বাসভবনসহ সরকারি বেসরকারি স্থাপনা হামলা-ভাঙচুর করেছেন বিক্ষোভকারীরা। দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডু ও কান্তিপুরে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

কাঠমান্ডুর সাংবাদিক রাম্যাতা লিম্বু বলেছেন, নেপালের চলমান বিক্ষোভ এবং সহিংসতার মাত্রা দেখে সবাই হতবাক। কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে হতাশা ছিল। দুর্নীতি বাড়ছে, স্বচ্ছতা নেই, জবাবদিহিতা নেই… কিন্তু আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের কেউই ভাবেনি, পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছাবে।

আরও পড়ুনঃ  রাকসু নির্বাচনে ৩২২ জনের মনোনয়নপত্র জমা

লিম্বু বলেন, বিক্ষোভকারীদের ভাঙচুরের পর সংসদ ভবন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। এটি বেশ উদ্বেগজনক এবং কিছুটা ভীতিকর। এখন মনে হচ্ছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে কেউই নেই।

তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে সেনাবাহিনীর প্রধান, পুলিশের প্রধান, সশস্ত্র পুলিশের প্রধান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ছয়টি নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানরা যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। আশা করা যায়, এটি পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করতে সহায়ক হবে। কারণ এখন যা ঘটছে, তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণহীন বা অরাজকতার মতো মনে হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  আজ ডাকসু নির্বাচন, প্রস্তুত ভোটকেন্দ্র

নেপালে সোমবারও ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কিছু বিক্ষোভকারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের আহ্বান জানাতে শুরু করেছিলেন। তবে পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিতভাবে আজ পাল্টে গেছে। দেশটির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন নিজেরাই এগিয়ে এসে সরকারি সম্পত্তি ঘিরে সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছেন, যাতে উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর না করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর অনেক শিক্ষার্থী এবং তরুণ বিক্ষোভকারী বর্তমানে সহিংসতা ও রাস্তায় উত্তেজনা প্রশমনের দিকে নজর দিচ্ছেন। নেপালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছে জেন-জি প্রজন্ম। এক খোলা চিঠিতে তারা বলেছেন, প্রশাসন এখন কার্যত চাপের মুখে নতজানু এবং বিক্ষোভকারীদের প্রতি শান্ত থাকার ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস না করার আহ্বান জানিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকানোর কোনো শক্তি পৃথিবীতে নেই : শফিকুল আলম

চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশ এখন আমাদের নেতৃত্বে এসেছে। সরকারি সম্পত্তির কোনও ক্ষতি করা যাবে না। ধৈর্য ও সংযম নিয়ে আমরা সামনে এগোব।

জেন-জিদের ওই চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেছেন এবং এর মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক সমাধানের পথ খুলে গেছে। আমাদের অবস্থান হলো, একটি সর্বজনগ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে নাগরিক সরকার গঠন এবং নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা। এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যতের নেপাল গড়ে তুলতে পারব। আমাদের ঐক্যই নতুন পরিবর্তনের ভিত্তি গড়ে দেবে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, আল জাজিরা।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।