স্টাফ রিপোর্টার : রবিবার (১৮ মে) সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পবিত্র ঈদ-উল-আয্হা উদ্যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার।
সভাপতির বক্তৃতায় আফিয়া আখতার বলেন, পবিত্র ঈদ-উল আয্হার জন্য তিন ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়। প্রাথমিক প্রস্তুতি হচ্ছে গরুর হাটের ব্যবস্থাপনা। যেখানে গরুর হাট স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বসবে সেখানে প্রাণিসম্পদ অফিসার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রতিবছরের ন্যায় বসার ব্যবস্থা রাখা হবে। হাটের আশেপাশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালিত হবে। রাজশাহীতে কোরবানির জন্য চাহিদার তুলনায় বেশি কোরবানীযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে।
কোরবানির পশু জবাইয়ের পরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তিনি বলেন, নগরীর ভিতরে সিটি কর্পোরেশন এবং নগরীর বাইরে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ও স্থানীয়ভাবে বর্জ্য অপসারণ করা হবে সেলক্ষ্যে সকল ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় ব্লিচিং পাউডার, লোকবল ও ট্রাকের ব্যবস্থা রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া নিজ নিজ উদ্যোগে সংরক্ষণ করতে হবে। একদিনেই যেন সব চামড়া ঢাকায় না যায়। চামড়া যদি একদিনে মূল ব্যবসায়ীর হাতে চলে যায় তাহলে আপনারা সঠিক মূল্য পাবেন না। যদি সরকারের পক্ষ থেকে চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণ বরাদ্দ আসে তাহলে আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী সবাইকে ভাগ করে দেব।
তিনি বলেন, ঈদের জামাতের কমিটি জামাতের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবে। পবিত্র ঈদ-উল-আয্হার নামাজের প্রধান জামাত প্রতিবারের মতো রাজশাহী মহানগরীর হযরত শাহ্ মখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে সাতটায় অনুষ্ঠিত হবে। আবাহওয়া প্রতিকূল থাকলে ঈদের প্রধান জামাত হযরত শাহ্ মখদুম দরগা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল আটটায় অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জেলা পর্যায়ের সরকারি দপ্তরপ্রধান ও উপজেলার নির্বাহী অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।