স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে সম্পন্ন হলো পাঁচ দিনব্যাপী শিশু নেতৃত্বে তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন নির্মাণ কর্মশালা। গত ২০ জুলাই শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) পর্যন্ত এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে।
অ্যাকপেট ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) এই আয়োজন করে।
‘চিলড্রেন নো বেটার: মেকিং চাইল্ড পার্টিসিপেশন দ্য কি টু ইমপ্রুভিং ইফেকটিভনেস অব অ্যাকশন এগেইনস্ট সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অব চিলড্রেন’ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এ কর্মশালায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন, গোদাগাড়ী ও মোহনপুর উপজেলা থেকে নির্বাচিত ২৫ জন শিশু নেতা এবং ১০ জন পিয়ার এডুকেটর অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় শিশু নেতারা মাঠ পর্যায়ে যৌন শোষণ বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ এবং অংশগ্রহণমূলক গবেষণায় অংশ নেন। এরপর সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে যৌন শোষণের কারণ, প্রভাব ও প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করেন তারা। এই প্রতিবেদন ভবিষ্যতে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হবে বলে আয়োজকেরা জানান।
কর্মশালায় শিশুরা তাদের গবেষণার অভিজ্ঞতা, সমস্যা ও অর্জন তুলে ধরে। বিশ্লেষণী কার্যক্রমের মাধ্যমে যৌন শোষণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চিহ্নিত করে তারা। অংশগ্রহণকারী শিশুদের অভিজ্ঞতা থেকে স্পষ্ট হয়, তারা শুধু শিকার নয়—বরং যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে সমাধানের অংশীদার হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
কর্মশালার সহায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাকপেট ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি স্যান্ড্রিন কনস্ট্যান্ট এবং টেরে ডেস হোমস-এর হেড অব প্রোগ্রাম জিনিয়া আফরোজ। তাঁদের দিকনির্দেশনায় পুরো আয়োজনটি হয়ে ওঠে শিশুবান্ধব, অংশগ্রহণমূলক ও ফলপ্রসূ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এই ধরনের উদ্যোগ শিশুদের কণ্ঠস্বরকে আরও সুসংগঠিত ও প্রতিনিধিত্বশীল করে তুলছে। এতে করে শিশুরা হয়ে উঠছে অধিক সচেতন ও আত্মবিশ্বাসী, যা শিশু সুরক্ষায় দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করছে।
কর্মসূচিটি তত্ত্বাবধান করেন এসিডির নির্বাহী পরিচালক সালীমা সারোয়ার, পরিচালক (প্রোগ্রাম) শারমিন সুবরিনা, প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মো. আলী আহম্মেদ, প্রোগ্রাম অফিসার আতিয়া তানসিমা এবং কমিউনিটি মোবিলাইজার মানতাকা আক্তার।