স্টাফ রিপোর্টার পুঠিয়া: কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ময়লার স্তুপ ও দুর্গন্ধে জরাজীর্ণ পুঠিয়া উপজেলা ঐতিহ্যবাহী বানেশ্বর হাট। এমন অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বাধ্য হয়ে বেচাকেনা করছেন ক্রেতা এবং বিক্রেতারা।
এ হাট থেকে প্রতি বছর ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হলেও উন্নয়নে তেমন কোন উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে ময়লার স্তুপ দুর্গন্ধে বিপাকে পড়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতারা
শনিবার মঙ্গলবার সপ্তাহে দুইদিন বানেশ্বরের হাটবার। মঙ্গলবার সরজমিনে হাটে ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতারা জানান, মাংস বিক্রেতা মালেক আলী বলেন, পাশেই ময়লার ভাগাড় আর দুর্গন্ধ। কেনা বেচা তো দূরের কথা এখানে টিকে থাকা দায় হয়ে গেছে আমাদের। মাছ ও মাংস হাটার পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় মাছের পানি, জবাই করা গবাদি পশুর রক্ত জমে পচা-দুর্গন্ধময় পরিবেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাধ্য হয়ে কেনা বেচা করছি।
মাছ ব্যবসায়ী ইলিয়াস হোসেন বলেন, মাছ বাজারের পাশেই পরিনত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। শুকনো মৌসুমে কষ্ট করে কেনা বেচা করা গেলেও বর্ষার সময় দূরগন্ধযুক্ত পানি ছড়িয়ে পড়ে পুরো হাটজুড়ে। এখানে পচা দূরগন্ধযুক্ত ময়লা থাকায় ছোট ছোট পোকা মাছ ক্রয় করতে আশা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের হাত পায়ে উঠায় এখানে অনেকে মাছ কিনতে আসছে না। বার বার বলা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয় না হাট কতৃপক্ষ।
আসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, বানেশ্বর হাট বর্তমানে খুবই নোংরা পরিবেশ। দুর্গন্ধের কারণে এ হাটে বাজার করতে আসা যায়না। চারিদিকে শুধু ময়লার স্তুপ। শুনি ৬ কোটি টাকায় হাট ইজারা দেওয়া হয়ছে । ব্যাংকেও নাকি ৯/১০ কোটি টাকা আছে কিন্তু হাটের উন্নয়ন হয় না কেন জানিনা।
সবুজ আলী নামে আরেক ক্রেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাটের এই নোংরা অবস্থা। শুকনো মৌসুমে কষ্ট করে বাজার করা গেলেও। বর্ষার সময় পুরো হাট পানির নিচে তলা থাকে আর সাথে নোংরা বর্জ্য, ছোট ছোট পোকা মানুষের শরীরে উঠে। হাটে কেউ আসতে চাই না।
বানেশ্বর বনিক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান মতি বলেন , আম, খেজুরের গুড়, সবজি গরু-ছাগল ও গৃহস্থালি পণ্যের জন্য বেশ পরিচিত এ হাট। প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকা দিয়ে হাটটি ইজারা নেওয়া হলেও হাটটির সার্বিক উন্নয়নে কোন নজরদারি নেই কতৃপক্ষের। বার বার পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাটের উন্নয়নের জন্য আশ্বাস দিলেও এখনো কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেননি।
এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম নুর হোসেন নির্ঝর বরেন, হাটের নোংরা পরিবেশের অন্যতম কারণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা আমরা উপজেলা প্রশাসন ড্রেনেজ ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছি অল্পদিনের মধ্যে হয়তো কাজ শুরু হবে। হাটের মধ্যে সবজি, মাছ ও মাংশ পট্রিতে টিন সেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এবং বন্ধ ড্রেনটি সংস্কার করার পাশাপাশি হাটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কর্মকর্তা জানান।