নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার। রাত ১২:২২। ৬ নভেম্বর, ২০২৫।

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া ঢেলে সাজানোর আহ্বান টিআইবির

নভেম্বর ৫, ২০২৫ ১১:০৫
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : ২০২৫’ খসড়া নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, অন্যথায় অধ্যাদেশটি পুলিশ কমিশনের ওপর সরকারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা এবং কমিশনকে সাবেক আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কর্মক্ষেত্রে পরিণত করার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) এক সংবাদ বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অধ্যাদেশের প্রস্তাবিত গঠন অনুযায়ী সাত সদস্যের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত একজন আমলা ও দুজন পুলিশ কর্মকর্তার অন্তর্ভুক্তি কমিশনকে সরকারের নির্বাহী বিভাগের প্রভাবাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার ঝুঁকি তৈরি করবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উত্তমচর্চার আলোকে সাবেক ও বর্তমান আমলা-পুলিশ কর্মকর্তাদের কমিশনে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। এর পরিবর্তে বিচার, আইন, মানবাধিকার, সুশাসন ও একাডেমিক খাতের নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিশন গঠনের বিধান রাখতে হবে। খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী বাছাই কমিটি, জনবল নিয়োগ ও আর্থিক স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারা কমিশনের বাস্তব স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

ড. জামান বলেন, কমিশনের জনবল নিয়োগে সরকারের অনুমোদনের বিধান বাতিল করে এ ক্ষমতা পুরোপুরি কমিশনের হাতে দিতে হবে। প্রেষণে নিয়োগের ক্ষেত্রেও সরকারের পরিবর্তে কমিশনের সুপারিশই চূড়ান্ত হবে- এমন ধারা যুক্ত করতে হবে। এছাড়া কমিশনের সচিব নিয়োগের ক্ষমতাও কমিশনের হাতে ন্যস্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন টিআইবি নির্বাহী পরিচালক।

তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে সদস্য-সচিব করার প্রস্তাব বাতিল করে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সচিবসহ সব জনবল নিয়োগের বিধান রাখতে হবে। সচিবের পদমর্যাদা ও বেতন-ভাতা সরকারের সচিবের সমান হতে হবে।

বাছাই কমিটিতে মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন নাগরিকের অন্তর্ভুক্তি এবং কমিটির সুপারিশকৃত প্রার্থীদের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছে টিআইবি।

সংস্থাটি আরও বলেছে, কমিশনের হাতে পুলিশি কার্যক্রম, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার পেশাগত মানোন্নয়ন, মানবাধিকার সংবেদনশীলতা এবং আইন প্রণয়নে সুপারিশ করার ক্ষমতা দিতে হবে।

টিআইবি প্রস্তাব করেছে, কমিশন প্রতিষ্ঠার ছয় মাসের মধ্যে ঔপনিবেশিক আমলের পুরনো পুলিশ আইন বাতিল করে ২০০৭ সালের খসড়া পুলিশ আইনের ইতিবাচক দিক বিবেচনায় সময়োপযোগী নতুন পুলিশ আইন প্রণয়নের সুপারিশ কমিশনের মাধ্যমে করতে হবে।

সবশেষে কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা ও স্বচ্ছতার স্বার্থে ‘সরকার কমিশন কর্তৃক চাওয়া বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করবে এবং এর বাৎসরিক নিরীক্ষিত ব্যয়বিবরণী প্রতিবেদন সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করবে- এ ধারা সংযোজনের আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।-ইত্তেফাক

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।