অনলাইন ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ায় প্রতিশোধ নিতে ১৬ বছরের এক কিশোর গলা কেটে ৭৫ বছরের বৃদ্ধা শারুনী বেগমকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার দুপ্তারা এলাকা থেকে হত্যাকারী কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিকদের থাকার একতলা ভবনের ছাদে শারুনী বেগমের গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে শ্রমিকরা চিৎকার শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় এবং সেখান থেকে রক্তমাখা একটি বঁটি জব্দ করে।
শারুনী বেগম দীর্ঘদিন ধরে ওই ভবনের খাবারের মেস পরিচালনা করতেন। তার হত্যার খবরে এলাকায় চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যাকারীকে শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আড়াইহাজার দুপ্তারা এলাকা থেকে কিশোর শাওনকে (১৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পানান গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাওন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। সে জানায়, প্রায় ২০-২৫ দিন আগে শারুনী বেগমের মেসে টাকা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে সে। তখন শারুনী তাকে হাতেনাতে ধরে মারধর করেন। এতে শাওন অপমানিত বোধ করে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। হত্যার দিন শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শাওন গোপনে ভবনের পেছন দিক দিয়ে ছাদে উঠে লুকিয়ে থাকে। বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে শারুনী বেগম ছাদে উঠলে শাওন তাকে পেছন থেকে ঝাপটে ধরে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর তার নাক-মুখ চেপে অচেতন করে ফেলে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, শারুনী অচেতন হয়ে গেলে শাওন রান্নাঘর থেকে বঁটি এনে তাকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে দ্রুত পালিয়ে যায়।
আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, মাত্র তিন দিনের মধ্যে প্রযুক্তি ব্যবহার এবং পুলিশের কৌশলগত পদক্ষেপে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়েছে। কিশোর শাওনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।