প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) একটি দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি মূলত কোনো বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অন্য দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প বা সেবাখাতে পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য এফডিআই শুধু পুঁজির সংস্থান নয়, বরং প্রযুক্তি হস্তান্তর, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রপ্তানিমুখী শিল্পায়নে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত। বিগত দুই দশকে বাংলাদেশে এফডিআই প্রবাহে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে, তবে তা এখনও কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছাতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে নিট প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল প্রায় ২.৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে। একই সময়ে ভিয়েতনাম, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোতে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২৭, ৪৯ ও ২২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি এফডিআই এসেছে পোশাক শিল্প, গ্যাস ও বিদ্যুৎখাত, টেলিযোগাযোগ এবং আর্থিকখাতে। বিশেষত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস ও মালয়েশিয়া বাংলাদেশের শীর্ষ বিনিয়োগকারী দেশগুলোর অন্যতম। চীন বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড়ো এফডিআই উৎস হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠছে, বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিল্প পার্ক স্থাপন খাতে। বাংলাদেশের জন্য এফডিআই -এর সবচেয়ে বড়ো সুফল হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার। বিদেশি কোম্পানিগুলো সাধারণত উৎপাদনখাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যা স্থানীয় শিল্পে দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক। এছাড়াও এফডিআই স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এফডিআই দেশের রপ্তানি আয় বাড়াতে সহায়ক হয়। যেমন, রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) এলাকায় প্রতিষ্ঠিত বিদেশি কারখানাগুলো প্রধানত রপ্তানিমুখী হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং ব্যাংকিং সেবা খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটাতে এফডিআই একটি শক্তিশালী হাতিয়ার।
এফডিআই আকর্ষণে বাংলাদেশের সামনে বেশ কিছু অন্তরায় রয়েছে। প্রথমতম, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করে। বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করতে বহু ধাপ অতিক্রম করতে হয়, যা বিশ্ব ব্যাংকের ‘ইজি অব ডুইং বিজনেস’ সূচকে দেশের পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ। দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নীতিনির্ধারণে ধারাবাহিকতার অভাব এফডিআই-র প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তৃতীয়ত, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহে অনিয়মিততা, দুর্বল লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত দুর্বলতা অনেক সময় বিদেশি কোম্পানিকে ব্যয়বহুল উৎপাদন কাঠামোর মুখে ফেলে দেয়। তাছাড়া বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তির নির্ভরযোগ্য প্রক্রিয়ার অভাব এবং দুর্নীতি একটি বড়ো বাধা হিসেবে রয়ে গেছে। অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেছেন যে, প্রকল্প বাস্তবায়নে ঘুষ ও অনৈতিক অনুরোধের সম্মুখীন হতে হয়।
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিল্পায়ন, ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)-কে অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করছে। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (বেজা)-এর মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। একদিকে যেমন এক স্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে, অন্যদিকে দেশজুড়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) গড়ে তোলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫-এর মাধ্যমে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশের সম্ভাবনা বিশ্বজুড়ে তুলে ধরা হয়েছে। এই সম্মেলনে ৫০টি দেশ থেকে ৪১৫ জন বিদেশি বিনিয়োগকারী অংশগ্রহণ করেছিলেন, যা বাংলাদেশের বিনিয়োগ আকর্ষণ বৃদ্ধির একটি উল্লেখযোগ্য দিক। সম্মেলনে ৩ হাজার একশত কোটি টাকার বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে এবং সম্মেলনের মাধ্যমে ১০০ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা) বিনিয়োগের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ফ্যাক্টরি পরিদর্শন, বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রের আলোচনা এবং সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে দেশি বিনিয়োগ ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬২১ কোটি টাকা এবং বিদেশি বিনিয়োগ ১ লক্ষ ১২ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। এই বিনিয়োগ প্রস্তাবের মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে, যা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরও বাড়ানোর জন্য বিডা নানান ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে, যার মধ্যে ৭৫টি সক্রিয় এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন চলছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নতি পাচ্ছে, যা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক। বিদ্যুৎখাতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৯,৪৭৫ মেগাওয়াট, যার মধ্যে ২০ জাহার মেগাওয়াটের বেশি উৎপাদিত হচ্ছে বেসরকারিখাত ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দ্বারা। ২০২৩ সালের মধ্যে সরকার ৪ হাজার মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (ADB) এর সহায়তায় গ্যাস, সৌর, ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) ভিত্তিক প্রকল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, যার ফলে এই খাতে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। গার্মেন্টস, প্লাস্টিক, চামড়া, ও ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন খাতে এফডিআই প্রবাহে দ্রুত বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ২০২৩ সালের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪শতাংশ আসে তৈরি পোশাকখাত থেকে, যেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান গার্মেন্টস রপ্তানি বাজারগুলো হল ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র, এবং এই খাতে প্রতি বছর গড়ে ৭শতাংশ বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। Bangladesh Economic Zones Authority (BEZA) ২০২২-২৩ অর্থবছরে নতুন ৭টি শিল্প পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে, যা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক হচ্ছে। বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের প্রভাব ব্যাপক। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা ১৮.৫২ কোটি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১৩.৬৫ কোটি, যা বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল টেলিকম বাজারগুলোর মধ্যে একটি। গ্রামীণফোন, রবি, এবং বাংলালিংকসহ প্রায় সব বড়ো মোবাইল অপারেটরই বিদেশি কোম্পানি বা তাদের অংশীদারিত্বে পরিচালিত হচ্ছে। ২০২৩ সালে BTRC ১,০০০ কোটি টাকার একটি নতুন টেলিকম অবকাঠামো প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে, যার ফলে খাতে ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রবাহ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে দেশের সফটওয়্যার রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ICT Division-এর সহায়তায়, বিদেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিগুলো বর্তমানে বাংলাদেশে স্টার্ট-আপ বিনিয়োগে আগ্রহী। বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিখাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তবে, বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে যাতে দেশটি আইটি সেক্টরে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গন্তব্যে পরিণত হতে পারে। স্বাস্থ্যখাতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে ৭০শতাংশ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা বেসরকারিখাত দ্বারা প্রদান করা হচ্ছে। ২০২২ সালে স্বাস্থ্যখাতে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, যা দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থার মান উন্নত করতে সহায়তা করেছে। একইভাবে, বাংলাদেশে বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে প্রায় ২৫টি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে শাখা খুলেছে এবং এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এসেছে।
বাংলাদেশে পর্যটনখাতে এফডিআই-এর বড়ো সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পর্যটনখাতে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, যা সামগ্রিকভাবে পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন এবং নতুন হোটেল ও রিসোর্ট প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যয় করা হচ্ছে। কক্সবাজার এবং সুন্দরবনের মতো স্থানগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৩ বিলিয়ন ডলারের উপরে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন। তবে, বাংলাদেশ WEF-এর ২০২১ সালের ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে ১০২তম স্থানে রয়েছে, যা এ খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পথে একটি বড়ো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের বীমাখাতেও বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ বেড়েছে। IDRA-এর অধীনে ৮০টি বীমা কোম্পানি বর্তমানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যার মধ্যে ১০টি বিদেশি বীমা কোম্পানি। খাতটির সম্প্রসারণের জন্য সরকার বীমা সংস্কার ও আধুনিকায়ন নিশ্চিত করছে, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও আকৃষ্ট করবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে BIDA কর্তৃক ৩৮টি বাণিজ্যিক অফিস ও প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব অফিস ব্যবসা সম্প্রসারণ, বাজার বিশ্লেষণ, এবং লজিস্টিক ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক কোম্পানির অফিস রয়েছে, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে।
বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) একটি আশাব্যঞ্জক সম্ভাবনার ক্ষেত্র। ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে মোট এফডিআই প্রবাহ ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তবে, বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আরও প্রণোদনা ও সংস্কার প্রক্রিয়া চলমান রাখা প্রয়োজন। বিশেষ করে আইনি কাঠামো শক্তিশালীকরণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং কর সুবিধা সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গন্তব্যে পরিণত হতে পারে।
#
লেখক: মো. খালিদ হাসান,সহকারী তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর
পিআইডি ফিচার