নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা সোমবার। রাত ২:৩১। ২৬ মে, ২০২৫।

প্রধান উপদেষ্টাকে যেসব দাবি জানিয়ে এলেন মান্না-সেলিম-সাকীরা

মে ২৫, ২০২৫ ১১:০৫
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মানবিক করিডর ইস্যুসহ উদ্ভূত সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রথম দফায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে একে একে কথা বলেন নেতারা। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ পাবেন না বলে ধারণা করেছিলেন। তাই তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। নির্বাচনের জন্য একটু শক্তিশালী প্রশাসন দরকার, সেটি প্রস্তুত হলেই নির্বাচন আয়োজন হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন। মঞ্জু আরও বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করেছে তার দল।

আরও পড়ুনঃ  রাবিতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা হলসহ ১২ স্থাপনার নাম পরিবর্তন

সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশে ও দেশের বাইরে থেকে গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মতের পার্থক্য থাকবে এটা মেনে নিতে হবে, কিন্তু কোনটা কার্যকর হবে সেটা ঠিক করবে জনগণ।

তিনি আরও বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার দরকার, তা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সময়ক্ষেপণ করলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হবে, তখন কিছু করার থাকবে না।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদ আমাদের এ অর্জন মেনে নিতে পারছে না। পারলে একদিনে তা ধ্বংস করে দেবে। এটা যাতে কোনোভাবেই না হয়, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  কানে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশের ‘আলী’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গেলো কয়দিনের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার মন খারাপ ছিল। এজন্য তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মাঝনদীতে মাঝি বদলাতে হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ জন্য ড. ইউনূসের ওপর সবাই আস্থা রাখাতে চায় বলে তাকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনেকক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার দলনিরপেক্ষ অবস্থা বজায় রাখতে পারছে না। এটি পরিহার করে নিরপেক্ষ আচরণ দেখতে চাই। এক সরকারের মধ্যে আরেকটি সরকার দেখতে চাই না। মানবিক করিডরসহ জাতীয় কোন সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া নেয়া উচিত নয় বলেও বৈঠকে মন্তব্য করেন সাইফুল হক।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করেই তাকে (ড. ইউনূস) যেতে হবে। নানা ধরনের অনাস্থা তৈরি হচ্ছে, এরমধ্য দিয়ে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। এই জায়গাটা দূর করতে হবে বলেও তিনি বৈঠকে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জনগন দৃশ্যমান বিচার দেখতে চায়। বিচারের আন্তর্জাতিক মান যাতে বজায় থাকে, সে ব্যাপারেও দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাত : ভারতে একদিনে নিহত ৪৫

বৈঠকে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছেন সাকী। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন, এটা যে জরুরি তা সরকারও মনে করে। তবে, নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ দরকার, যে প্রতিষ্ঠানগুলো জড়িত, সে প্রতিষ্ঠানগুলো যখন আত্মবিশ্বাসী হবেন যে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুত, তখনই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন।-ইত্তেফাক

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।