নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশ বুধবার। রাত ৪:৫২। ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫।

প্রাথমিকে গানের শিক্ষক বাদ দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: ধর্মভিত্তিক ৫ দলের নেতারা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫ ৯:৪৯
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক : সরকার ঘোষনা করেছে, দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সংগীত শিক্ষক’ নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক পাঁচটি রাজনৈতিক দল এই সিদ্ধান্তকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছে। তাদের দাবি, সংগীত শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ করা হোক, নইলে ইসলামপ্রেমিক জনগণ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা শহরের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে একটি সেমিনারে ধর্মীয় দলগুলোর এ বক্তব্য উঠে আসে। জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ এ সেমিনার আয়োজন করে।

আরও পড়ুনঃ  নেপালে নতুন সংকট, পার্লামেন্ট পুনর্বহালের দাবি প্রধান দলগুলোর

সেমিনারে দলগুলোর প্রধান দাবিসমূহ হলো: সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন যোগ্য ও স্বতন্ত্র ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষক হতে হবে আলিয়া মাদ্রাসায় কামিল পাস অথবা আল‑হাইয়াতুল উলয়া থেকে দাওরায়ে হাদিস পাস করা ব্যক্তি। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয়কে জড়িয়ে একটি স্বতন্ত্র ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা–২০২৫’ সংশোধন করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের ধারা সংযোজন করতে হবে। নিয়োগপ্রাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষকদের জন্য শিক্ষা ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। অন্য ধর্মাবলম্বীদের (হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান) শিক্ষার্থীদের জন্যও তাদের ধর্ম অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  ইসরায়েলের হামলার পর কাতারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ ট্রাম্পের

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়েদ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, “গানের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের মানসিক ও আদর্শিক ঘাটতি বাড়াবে, লেখাপড়ার মান নষ্ট হবে।” তিনি সতর্ক করেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক না নিয়োগ হলে ইসলামপ্রেমিক জনগণ জনমত নিয়ে রাজপথে নামবে।

আরও পড়ুনঃ  পুঠিয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অবৈধ জাল জব্দ ও ধ্বংস

জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নেতা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, “গান ও নাচ শিক্ষক রাখার পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা উচিত।” তিনি বলেন, “দেশ গঠনের কাজ নির্বাচন বা সরকারের পরিবর্তন থেকে শুরু হয়; ধর্ম বিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা চলে না।”

খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতারা জানান, দেশের অধিকাংশ মানুষ চায় তাদের সন্তান ধর্মীয় শিক্ষায় অভিভূত হোক, তাই সংগীত শিক্ষক নিয়োগের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক।-ইত্তেফাক

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কথা ২৪ লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন somoyerkotha24news@gmail.com ঠিকানায়।